“পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায়,” বলেন ওসি।
Published : 29 Apr 2024, 08:57 PM
ফকির লালন সাঁইয়ের গানের চরণ লিখে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক যুবকের দেওয়া ফেইসবুক পোস্ট দেখে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তোলে কিছু ব্যক্তি; পরে ওই যুবককে আটক করে পুলিশ।
পরে কারাগারেও যেতে হয় সঞ্জয় রক্ষিত নামের ওই ব্যক্তিকে, যিনি পরদিন পেয়েছেন জামিন।
কিছু ব্যক্তির বিক্ষোভের মুখে সঞ্জয়কে রোববার ভোরে তার বাড়ি থেকে আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসে। পরে সন্ধ্যায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার দুপুরে তিনি জামিনের আবেদন জানালে বিচারক সাকিব হাসান তা মঞ্জুর করেছেন বলে জানান শরীয়তপুর জজকোর্টের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন।
সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ফেইসবুকে গানের যে দুটি লাইন পোস্ট করেছিলেন তা অনেকের কাছে ধর্মীয় ’কটূক্তি’ বলে মনে হয়েছিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ তুলে তার বাড়ির সামনে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
ওই ব্যবসায়ী ফেইসবুকে লিখেছিলেন, 'ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান/নারী লোকের কী হয় বিধান’।
তার এ ফেইসবুক পোস্ট নিয়েই এলাকায় কিছু ব্যক্তি হৈচৈ শুরু করলে পুলিশ এমন পদক্ষেপ নেয়।
ভেদরগঞ্জের মহিষার ইউনিয়নের সাজনপুর এলাকার ৪০ বছর বয়সী সঞ্জিত পেশায় স্বর্ণকার।
ভেদরগঞ্জ থানার ওসি মিন্টু মণ্ডল বলেন, “‘ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান/নারী লোকের কী হয় বিধান’। ওই পোস্ট দেখে সঞ্জিতের বাড়ির সামনে কিছু লোক জড়ো হয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
“পরে তাদের মধ্যেই কেউ পুলিশকে ফোন করে খবর দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠায়।”
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম বলেন, “এক ব্যবসায়ী একটি গানের দুটি লাইন লিখে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন। ওই পোস্টকে কেন্দ্র করে স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হয়েছিল বলে অনেকে অভিযোগ তুলে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
“ওই ব্যবসায়ীকে প্রথমে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এরপর কোনো কিছু ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।”