“আমরা নৈরাজ্য চাই না, আমরা চাই সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে,” বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
Published : 25 Feb 2025, 12:10 AM
সারাদেশে ধর্ষণ-নিপীড়ন-অনিরাপত্তার প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে মিছিল বের করেন তারা। ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলো ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় গিয়ে মিছিল শেষে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে সঞ্চালক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সজীব আহমেদ।
বাংলা বিভাগের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মনীষা হক বলেন, “আমরা সবাই মিলে যে আবেগ থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছিলাম, বর্তমানে সেই আবেগের বাস্তবায়ন দেখছি না। আজ ঘর থেকে রাস্তা পর্যন্ত কোথাও আমরা নিরাপদ নই। প্রশাসনের যদি এখনো টনক না নড়ে, তবে যেভাবে শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়েছিলাম, ঠিক একইভাবে এই সরকারেরও পতন ঘটানো হবে। আমাদের নিরাপদ করুন, অথবা আপনাদের গদি ছেড়ে দিন।”
ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় বলেন, “৫ অগাস্টের পর আমরা দেখেছি, শ্রমিকদের আন্দোলনকে আওয়ামী দোসর বলে চালিয়ে দেওয়া হল। দেশে যখন ধর্ষণ, খুন, রাহাজানি বেড়ে গেল, তখন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, এগুলো নাকি আওয়ামী লীগের দোসররা করছে। যদি আওয়ামী লীগের দোসররাই এসব ঘটায়, তাহলে আপনারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? সাত মাসে আমরা দেখেছি, এই সরকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে কিছুই করতে পারেনি।
“আমরা বাসে, ট্রেনে আমাদের বোনদের যে নিরাপত্তা চেয়েছিলাম, সেই নিরাপত্তার কোনো লেশই দেখতে পাচ্ছি না। ৫ অগাস্টে আমাদের যে শপথ ছিল, স্বৈরাচার হাসিনাকে হটানোর, সেই একই শপথ আমাদের তৈরি হচ্ছে এই ইউনুস সরকারকে থামানোর জন্য।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইমরান শুভ বলেন, “আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন কোন পর্যায়ে আছে, তা প্রতিনিয়ত নিউজ ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি। আমরা এই নৈরাজ্য চাই না, আমরা চাই, সুস্থ স্বাভাবিকভাবে বাঁচতে। আমরা চাই আমাদের জীবনের নিরাপত্তা।
“আমাদের জান-মালের জিম্মা রাষ্ট্রের হাতে, সরকারের হাতে। রাষ্ট্র যদি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্যের কোনো মানে থাকে না।”