“পূর্ণিমা বাড়ির গরু আনতে গিয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল।”
Published : 06 Feb 2025, 06:55 PM
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা বাগান থেকে নিখোঁজ এক শিশুর গলাকাটা ও হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চা বাগানের ক্যামেলিয়া লেকের পাশে ১১ সেকশন থেকে বৃহস্পতিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান।
মৃত ১২ বছর বয়সী পূর্ণিমা রেলী শমশেরনগর চা বাগানের ৬ নম্বর শ্রমিক বস্তির চা শ্রমিক আপ্পান রেলীর মেয়ে।
তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পূর্ণিমার বাবা আপ্পানা রেলী বলেন, তার মেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় তাদের গরুগুলো ফিরিয়ে আনতে শমশেরনগর চা বাগানের সেকশন এলাকায় যায়। পরে রাত ঘনিয়ে এলেও মেয়ে ফিরে না আসায় তিনিসহ পরিবারের বাকি লোকজন তাকে খুঁজতে বের হন। এরপর বাগানের লোকজন মিলে সারারাত ধরে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন।
চা শ্রমিক শোভা বানিয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে চা শ্রমিকরা শমশেরনগর চা বাগানের ক্যামেলিয়া লেকের পাশে ১১ নম্বর সেকশনে পূর্ণিমার গলাকাটা ও এক হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে থাকতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তা উদ্ধার করে। পূর্ণিমা অনেক কর্মঠ ও সাহসী ছিল।”
শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “পূর্ণিমা বাড়ির গরু আনতে গিয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
“তবে বিষয়টি রাতে তার পরিবার থানা বা ফাঁড়িতে জানায়নি। সকালে লাশ পাওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করি।”
এদিকে চা বাগান শ্রমিকরা বলছেন, পূর্ণিমাকে শারীরিক নির্যাতনের পরে গলা ও হাতের কবজি কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে তাদের ধারণা।
কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, মেয়েটির পরিবারের থেকে কেউ মামলা নিয়ে আসেনি। তবে এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।