“রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরসহ বেশ কিছু এলাকার আলু রয়েছে।”
Published : 20 Jan 2025, 03:49 PM
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো নেপালে ৪২ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ফ্রেস আলু রপ্তানি হয়েছে।
রোববার দুপুরে বন্দর দিয়ে ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ নামের একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান আলু রপ্তানি করেছে বলে জানান বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের তাসীন ট্রেড লিংক নামের সিএন্ডএফের মো. মমিন বলেন, “আমরা থিংকস টু সাপ্লাই নামের রপ্তানিকারক গ্রুপের মাধ্যমে আলুগুলো নেপালে পাঠাচ্ছি। এই আলু নেপালের কাঁকরভিটায় যাবে।”
কোন কোন অঞ্চলের আলু পাঠানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুরসহ বেশ কিছু এলাকার রয়েছে।”
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। এ বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, আদা, পেঁয়াজ ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। বর্তমানে বন্দরটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টন পাথর আমদানি হচ্ছে।
উজ্জল বলেন, রোববার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৪২ টন আলু নেপালে গেছে। আলুগুলো রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে সংগ্রহ করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বন্দরে আনেন। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ২টি ট্রাকে করে আলু নেপালের রওনা হয়।