Published : 04 Aug 2024, 06:34 PM
একদফা দাবিতে জয়পুরহাট শহরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় এক আন্দোলনকারী ও এক আওয়ামী লীগ কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
রোববার বেলা ১টার দিকে শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নাজনীন নাহার ডেইজী।
নিহত ২১ বছর বয়সী বিশাল জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার রতনপুর গ্রামের মজিদুলের ছেলে এবং স্থানীয় বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। সে আন্দোলনকারী ছিল বলে প্রত্যক্ষর্দীরা জানিয়েছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম আব্দুর রহিম বলে জানা গেছে। তার বয়স ৫০।
এদিকে সংঘর্ষের মধ্যে জয়পুরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য সামসুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। তাদের জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজন জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীরা বেলা ১১টায় বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্টে এসে জড়ো হন। এরপর সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। তখন আন্দোলনকারীদের একটি অংশ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদুসহ আওয়ামী লীগের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন। এরপর আগুন দেওয়া হয় ছাত্রলীগ অফিস; ভাঙচুর করা হয় শ্রমিক লীগ অফিস।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেন। এতে আন্দোলনকারী ও পথচারীসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বিশালকে বগুড়া নিয়ে যাওয়ার পথে সে অচেতন হয়ে যায়। পরে তাকে কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে জরুরি বিভাগেরর কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজনীন নাহার ডেইজী বিশালকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক নাজনীন নাহার বলেছেন, “ছেলেটিকে গুলিবিদ্ধ আবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।”
এদিকে বিশালের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে অন্দোলনকারীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়, সদর থানা অফিস ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, ও টিয়ার সেল ছুড়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় সিও কলোনি এলাকায় তিনটি প্রাইভেটকার ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে অঅগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি হুমায়ন কবীর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।