“আমরা কলেজের লাইব্রেরির পাশে বসে কয়েকজন বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে।”
Published : 16 Jul 2024, 02:47 PM
বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর হাতবোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজের আমচত্বরে এ ঘটনা ঘটে বলে বগুড়া সদর থানার ওসি (অপারেশন) ফাইম জানান।
আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন এ ঘটনার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন। তবে ছাত্রলীগ তা অস্বীকার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন-সরকারি আজিজুল হক কলেজের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের তাফসির, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের সুমন, অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মামুন ও মিলন।
তারা চারজন বর্তমানে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থীরা বলছে, সকাল সাড়ে ১০টার পর কোটা সংস্কারের দাবিতে বগুড়া আজিজুল হক কলেজে সামনে রাস্তা অবরোধ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বেলা সোয়া ১১টার দিকে তারা সড়ক থেকে কর্মসূচি শেষ করে যে যার বিভাগের দিকে ফিরে যায়।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হলে চার শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে পাঠানো হয় হাসপাতালে।
কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দৃষ্টি বলেন, “আমরা কলেজের লাইব্রেরির পাশে বসে কয়েকজন বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় বিকট শব্দে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা তখন সেখান থেকে দৌড়ে চলে যাই।”
আহত অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন বলেন, “কর্মসূচি পালন শেষে কলেজ ক্যাম্পাসে আসছিলাম। এ সময় ককটেল হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তৌহিদ আহমেদ বলেন, “কে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানি না। তবে আন্দোলনটি ক্যাম্পাসে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করলে অবশ্যই তা প্রতিহত করা হবে।”
ওসি ফাইম বলেন, বর্তমান কলেজে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করলেও সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ
এদিকে বেলা ১১টা থেকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী কোটা সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে।
প্রায় ৩০ মিনিট অবরোধ করার পর অধ্যক্ষ ডা. রেজাউল আলম জুয়েল গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা মহাসড়ক ছেড়ে দেয়। পরে তারা ক্যাম্পাসের ভেতরে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করতে থাকে।