বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮৪ শিক্ষার্থী।
Published : 17 Apr 2025, 03:21 PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অধ্যয়নরত ‘আদিবাসী’ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভুবন চাকমা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেছেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন কলেজে অধ্যয়নরত ১৮৪ জন শিক্ষার্থী ।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী অপহরণের শিকার হয়।
অপহৃতরা হলেন, চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী দিব্যি চাকমা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী রিশন চাকমা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী লংঙি ম্রো।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এ অপহরণ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এমন অপহরণ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা তীব্র নিন্দা এবং অপহৃতদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “সাধারণ শিক্ষার্থীদের এমন অপহরণ ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সারা বাংলাদেশে মানবাধিকার বিরোধী ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষার পরিপন্থী। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। তাদের ওপর এমন ঘৃণ্য ঘটনা আমাদের জন্য আত্মবিধ্বংসী কাজ।
“তাই আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অপহৃত ৫ জন শিক্ষার্থীকে অতিদ্রুত নিঃশর্তভাবে সুস্থ শরীরে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি এবং এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য যথাযথ প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।”
এর আগে বিঝু উৎসব উপলক্ষে বন্ধুদের সঙ্গে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে বেড়াতে যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী। বিঝু শেষে মঙ্লবার তারা চট্টগ্রামে ফেরার উদ্দেশ্যে বাঘাইছড়ি থেকে দিঘীনালা হয়ে খাগড়াছড়ি সদরে চলে আসে।
সেখানে চট্টগ্রামগামী বাসের টিকিট না পাওয়ার কারণে তারা পাঁচজন খাগড়াছড়ি শহর থেকে কিছু দূরে কুকিছড়া এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাত্রি যাপন করে।
পরে বুধবার সকালে কুকিছড়া থেকে তারা টমটম গাড়িতে খাগড়াছড়ি সদরে আসার পথে গিরিফুল এলাকায় তাদের গাড়ি আটকানো হয় এবং টমটম গাড়ির চালকসহ অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরবর্তীতে টমটম ড্রাইভারকে ছেড়ে দিলেও পাঁচজন শিক্ষার্থীর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি।
অপহৃতদের মধ্যে রিশান চাকমা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সদস্য।
পিসিপি এ ঘটনায় ইউপিডিএফকে দায়ী করলেও তারা তা অস্বীকার করেছে।
ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেছিলেন, “অপহরণের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এই ধরনের প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি আমরা করি না।”
পুরানো খবর
'বিঝু' শেষে ফেরার পথে চবির ৫ শিক্ষার্থী 'অপহরণ', ইউপিডিএফের অস্বীকার