স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের পাড় ছাঁটাই করা হয়েছে। কিছু জায়গায় সামান্য মাটি খনন করেই কাজের ইতি টানা হয়।
Published : 29 Nov 2024, 11:15 PM
পিরোজপুরের নেছারাবাদের জলাবাড়ী ইউনিয়নে খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন খালের প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার বেশিরভাগ স্থানের কোনো মাটি ওঠানো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নকশা অনুযায়ীই খাল খনন করা হয়েছে; এর ব্যত্যয় হওয়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খালের পাড় ছাঁটাই করা হয়েছে। কিছু জায়গায় সামান্য মাটি খনন করেই কাজের ইতি টানা হয়।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ থেকে জানা যায়, ‘জলাবাড়ী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠন খালের খননকাজ বাস্তবায়ন করছে।
যা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় ৮০ লাখ টাকার প্রকল্প।
এ প্রকল্পের অধীনে জলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি খালের ৬ দশমিক ৯৫০ কিলোমিটার খনন কাজ পরিচালিত হয়।
সঠিকভাবে খাল খনন করা না হলেও এরই মধ্যে মোট বরাদ্দের অধিকাংশ অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জলাবাড়ি গ্রামের কৃষক রিপন হালদার বলেন, “পূর্ব জলাবাড়ী হাই স্কুলের পেছনের ৩০০ মিটারের বেশি খালের পাড় ছাঁটাই করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। কোনো খাল খনন করেনি। এতে কোনো সুফলই আসবে না।”
স্থানীয় আশিষ ডাকুয়া বলেন, “এভাবে খাল খনন মানুষের কোনো কাজে আসছে না। দায়সারাভাবে খনন করে চূড়ান্ত বিল উত্তোলনের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।”
জলাবাড়ী পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব হালদার অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি সুব্রত হালদার তাকে এড়িয়ে ‘নানা ছলচাতুরি করে’ এককভাবে প্রকল্পের কাজ করছেন।
তবে সুব্রত কুমার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ডিজাইনমতই সব কাজ করা হয়েছে।”
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েকজন জানান, খাল খননের কাজের প্রাথমিক পর্যায়ের ‘প্রি ওয়ার্ক’ এর সময় ত্রুটিপূর্ণ নকশা ও প্রাক্কলন তৈরি করা হয়; যার জন্য লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।
যদিও এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা বলেন, “ডিজাইনমতই সঠিকভাবে খাল খনন হয়েছে। ডিজাইনের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।”