“রায়হানের চোখের ভ্রুয়ের ওপর চুরিকাঘাত ও মারধর করা হয়।”
Published : 28 Mar 2025, 11:13 AM
নোয়াখালী সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে এক স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের নাপিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে সুধারাম থানার এসআই মো. শেখ কামাল জানান।
নিহত আব্দুল হামিদ রায়হান (১৭) উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ হুগলি গ্রামের হাজী বাড়ির কৃষক মো. আলমগীরের এবং স্থানীয় খলিফার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
রায়হানের মরদেহ ময়নাতদন্তের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় একই বাড়ির মো. সেলিমের ছেলে মো. মারুফকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। মারুফ সম্পর্কে রাহয়ানের চাচা হন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা বলছেন, মঙ্গলবার রাতে বাসা থেকে বেরিয়ে মসজিদে তারাবির নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয় রায়হান। পরদিন মোবাইল ফোনে রায়হানের পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরে কললিস্টের সূত্র ধরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় বুধবার একই বাড়ির মারুফকে আটক করে পুলিশ।
পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রায়হানকে হত্যা করে লাশ গুমের কথা স্বীকার করেন মারুফ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই গ্রামের নাপিত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে রায়হানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদ বলেন, “মারুফের সঙ্গে আমাদের কোনো বিরোধ নেই। তিনি কেন আমার ভাইকে হত্যা করল, তা আমরা জানি না।”
এসআই শেখ কামাল বলেন, “বাড়ি থেকে নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে রায়হানকে মারুফ ডাব পাড়ার কথা বলে বাড়ির পাশের নাপিত বাড়ির বাগানে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে সেখানে মারুফ আরও ৩-৪ জন যুবকসহ রায়হানের চোখের ভ্রুয়ের ওপর চুরিকাঘাত ও মারধর করা হয়। পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ ওই বাড়ির চৌশাগারের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়।”
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি এবং জড়িতদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।