কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে শতাধিক মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৭১টি জিডি হয়েছে।
দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শতাধিক মোবাইল ফোন ছাড়াও ওই দিন অন্তত ৩০ জনের ওয়ালেট চুরির ঘটনাও ঘটে।
এতে সমাবেশ শেষে বাড়ি ফিরতে অনেককে পড়তে হয়েছে বেকায়দায়।
ভুক্তভোগীদের তালিকায় বিএনপির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ছাড়াও আছে চিত্রনায়ক হেলাল খানের নাম।
গত শনিবার সমাবেশের দিন থেকে সোমবার পর্যন্ত এসব ঘটনায় এরই মধ্যে ৭১ জন ভুক্তভোগী কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানা গেছে।
তবে সোমবার পর্যন্ত কারো মোবাইল ফোন বা ওয়ালেট উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
ওই থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, প্রতিদিনই মোবাইল ফোন হারানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়ে থাকে। তবে শনিবারের পর থেকে গত দুই দিনে ৭১টি জিডি হয়েছে।
“আমরা খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। এ ছাড়া এসব ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টাও করা হচ্ছে।”
জানা গেছে, চিত্রনায়ক হেলাল খান মোবাইল ফোন হারিয়ে সমাবেশের দিন বিকালেই থানায় জিডি করেন।
এ বিষয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “অভিনেতা হিসেবে আমাকে দেখে অনেকেই ছবি ও সেলফি তুলেছেন। আমি কী জানতাম, তাদের মধ্যে চোরও থাকবে?”
সমাবেশের আগের দিন রাত ৯টার দিকে কান্দিরপাড় লিবার্টি মোড়ে এসে গাড়ি থেকে নামেন বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা।
এ সময় তিনি হেঁটে সমাবেশস্থলের দিকে যান। সমাবেশের প্রস্তুতি দেখে ফিরে পূবালী চত্বরে আসার সময় খেয়াল করেন, তার মোবাইল ফোনটি নেই।
ফোনটি উদ্ধারে ২০ হাজার টাকা পুরষ্কারের ঘোষণা দেওয়া হলেও সোমবার পর্যন্ত হদিস মেলেনি।
এ বিষয়ে শনিবারই কোতোয়ালি থানায় জিডি করা হয়।
সমাবেশে এতো মোবাইল ফোন ও ওয়ালেট চুরির বিষয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিন বলেন, “কুমিল্লায় স্মরণকালের বৃহৎ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার মধ্যে চোরেরাও ঘাপটি মেরে ছিল।”