আয়োজক আবদুল আলী চৌকিদার বলেন, “৩৫ বছর যাবৎ আমরা এখানে ওরস ও মেলা করে আসছি।”
Published : 15 Jan 2025, 06:02 PM
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় সুরেশ্বর পীরের এক মুরিদের বাড়িতে ওরশ শরিফ ও মেলা উদযাপনে আপত্তি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এ নিয়ে দুপক্ষের উত্তেজনার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আমরা ঘটনাস্থল প্রেমতলায় রয়েছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”
স্থানীয়রা জানান, প্রেমতলার আব্দুল আলী চৌকিদারের বাড়িতে প্রতিবছর সাত দিনব্যাপী ওরস উদযাপন হয়ে থাকে। এ বছরের উৎসব শুরু হবে ১৭ জানুয়ারি থেকে। এজন্য সাত দিন ধরেই কাজ করছিলেন ভক্ত-আশেকানরা।
সকালের দিকে ওরশের নামে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ এনে তা প্রতিরোধের ডাক দিয়ে বুধবার খেলাফত মজলিসের শত শত নেতাকর্মী উপজেলার প্রেমতলার আব্দুল আলী চৌকিদারের বাড়ি অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। অপরদিকে ওরশের অনুসারীরাও তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন সেনাবাহিনী ও পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীদের ওরশের ভক্ত-আশেকানদের মুখোমুখি না হতে অনুরোধ করেন। তিনি অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের আশ্বাস দেন। পরে খেলাফত মজলিসের অনুসারীরা ফিরে যান।
এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে।
খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা সাব্বির আহম্মেদ সাংবাদিকদের বলেন, “এখানে ওরশ ও মেলার নাম করে ইসলামবিরোধী অসামাজিক কাজ করতে দেওয়া হবে না।”
ওরশের আয়োজক আবদুল আলী চৌকিদার বলেন, “৩৫ বছর যাবৎ আমরা এখানে ওরশ ও মেলা করে আসছি। হঠাৎ করে কিছু লোক মাইকিং করে গালিগালাজ করে এবং আমাদের ওরশ ও মেলা বন্ধ করার হুমকি দেয়। এটা শুনে আমাদের লোকজনও রক্ষা করার চেষ্টা করে।”
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “জেলা প্রশাসন কোনো অনুমতি দেয়নি। এখানে ইসলামবিরোধী কার্যকলাপ করতে দেওয়া হবে না।”