২০০৯ সালে বরিশাল নগরীর দপ্তর খানা এলাকায় মা ও ছোট ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যায় ২০১০ সালে ধলুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
Published : 26 Dec 2024, 06:16 PM
বরিশাল নগরীতে রায় ঘোষণার ১৪ বছর পর মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে হত্যায় তাকে ফাঁসির সাজা দিয়েছিল আদালত।
বুধবার রাজধানীর বাড্ডা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই আসামি হলেন- শামীম আহমেদ ধলু (৫০)। তিনি বরিশাল নগরীর দপ্তর খানা এলাকার বাসিন্দা মৃত আলী মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ২০০৯ সালের ২১ এপ্রিল নগরীর দপ্তর খানার নিজ বাসায় মা সুফিয়া বেগম ও ছোট ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী শিমু আক্তারকে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি শামীম আহমেদ ধলু।
মামলা চলার সময় উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বের হয়ে তিনি ফেরারি হয়ে যান। তার অনুপস্থিতেই ২০১০ সালের ২৪ নভেম্বর বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এই জোড়া হত্যা মামলার রায়ে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার দণ্ড দেন।
মামলার বাদী ও নিহত শিমু আক্তারের বাবা আজিজ মল্লিক বলেন, “প্রেমের বিয়ে মেনে না নেয়ায় শামীম আহমেদ ধলু তার মাকে হত্যা করে। বিষয়টি দেখে ফেলায় অন্তঃসত্ত্বা শিমুকেও হত্যা করে সে।
“এরপর ফাঁসির দণ্ড এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে ছিল শামীম। তাকে গ্রেপ্তার করায় পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।”
তাকে গ্রেপ্তার করা কোতয়ালী মডেল থানার এসআই খোকন চন্দ্র দে বলেন, “জামিনে বের হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বাস করতেন শামীম আহমেদ ধলু । বিভিন্ন পরিচয়ে চাকুরি করাসহ মানুষের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়ে তিনি জীবনধারণ করতেন।
“এর মধ্যে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি তিনি ঢাকার বাড্ডা এলাকায় অবস্থান করছেন। সেই সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডার একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
বৃহস্পতিবার তাকে বরিশালে নিয়ে এসে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।