বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত কিংবা ভেঙে দেওয়া হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
Published : 15 Oct 2024, 11:18 PM
ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের অপসারণ না করার দাবিতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের পক্ষ থেকে এই মানববন্ধন কর্মসূচি হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙে দেওয়া হতে পারে এমন আলোচনার মধ্যে এই দাবি জানালেন জনপ্রতিনিধিরা।
মানববন্ধন চলাকালে সংগঠনের উপজেলা কমিটির সভাপতি ও বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী গ্রেনেট বাবু, বাহাগিলী ইউপি চেয়ারম্যান সুজাউদ্দৌলা লিপ্টন, সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য সাফিউল ইসলাম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য রোজিনা বেগম।
বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মৌলিক চাহিদা পূরণ, জরুরি সেবা প্রদান এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন করে সরকার। কিন্তু একটি মহল নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বিগত সরকারের প্রেতাত্মা। তারা সরকারকে কুপরামর্শ দিচ্ছে।
তারা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ বিলুপ্ত কিংবা ভেঙে দেওয়া হলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এতে জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা আছে।
বক্তারা, যেসব চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত করে শুধু তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দেন জনপ্রতিনিধিরা।