শ্রমিক লেবু সেখের লাশ উত্তোলন করা হলেও পোশাককর্মী নজরুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি স্বজনরা।
Published : 02 Feb 2025, 07:25 PM
আদালতের নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত দুইজনের লাশ উত্তোলনে প্রশাসন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় আসলেও একজনের লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি স্বজনরা।
ঢাকায় গুলিতে এই নিহতরা হলেন, রায়গঞ্জ উপজেলার বারইভাগ গ্রামের মোজাম্মেল সেখের ছেলে নজরুল ইসলাম (২৮) ও একই উপজেলার ডুমরাই গ্রামের জোরতুল্লা সেখের ছেলে শ্রমিক লেবু সেখ (৫৫)।
এদের মধ্যে শ্রমিক লেবু সেখের লাশ উত্তোলন করা হলেও পোশাককর্মী নজরুল ইসলামের লাশ উত্তোলন করতে দেয়নি স্বজনরা।
লেবু সেখ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই ইদ্রিস আলী বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ৫ অগাস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিতে নিহত হন লেবু সেখ।
ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের স্বজনরা পরের দিন ভোরে নিজ গ্রাম ডুমরাই কবরস্থানে তার লাশ দাফন করেন।
পরে নিহতের স্ত্রী সেলিনা বেগম বাদী হয়ে ১৫ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ থেকে ৪০০জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এ অবস্থায় রোববার সকালে আদালতের নির্দেশে কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
এসময় সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে রাব্বীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানান এসআই ইদ্রিস।
অপরদিকে, গাজীপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ২০ জুলাই গাজীপুরে গুলিতে মৃত্যু হয় পোশাককর্মী নজরুল ইসলামের।
পরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনরা নিজ গ্রামে এনে বারইভাগ কবরস্থানে নজরুলের লাশ দাফন করেন।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা খাতুন বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা আরও বলেন, ডিবি পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে রোববার নিহতের লাশ উত্তোলনের জন্য রায়গঞ্জ উপজেলায় আসলে স্বজন ও স্থানীয়রা বাধা দেন। ফলে মরদেহ উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।
এসময় সিরাজগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফ আফজাল রাজনসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান ডিবি পুলিশের এ কর্মকর্তা।