Published : 28 Jan 2025, 07:06 PM
ফরিদপুরের সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে সাতটি বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরে থাকা মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
সোমবার বিকালে সালথা থানার ওসি মো. আতাউর রহমান জানান, রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, এলাকার আধিপত্য নিয়ে সালথা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহাহ্বায়ক হারুন মাতুব্বর ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহিদুজ্জামান সাহিদের বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে সম্প্রতি মাঝারদিয়া গ্রামে দুই দফা সংঘর্ষ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার পর সাহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
রোববার সন্ধ্যায় স্থানীয় বিনোকদিয়া বাজার থেকে হারুনের সমর্থক শফি মাতুব্বরের ছেলে পলাশ মাতুব্বরকে মারধর করে সাহিদুজ্জামানের সমর্থকরা। খবর পেয়ে হারুনের সমর্থকরা বিনোকদিয়া বাজারে গিয়ে সাহিদুজ্জামানের সমর্থক আসাদ মাতুব্বর ও হুমাউন মাতুব্বরকে মারধর করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সমর্থকরা জড়ো হয়ে মাঝারদিয়া গ্রামের শফি মাতুব্বর ও তার ছেলেদের ৫টি, রবিন মাতুব্বরের ১টি ও কামরুল মাতুব্বরের ১টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
এ সময় হামলাকারীরা শফির দুটি খড়ের গাদায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং এসব ঘরের মালামাল ও নগদ কয়েক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
ওসি আতাউর বলেন, “হামলা-ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। এখানে চারটি বাড়িতে একতরফা হামলা হয়েছে।”
এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।