গাজীপুরের শ্রীপুরে এক রাজমিস্ত্রির সহকারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া পূর্বখন্ড এলাকার ভাড়া বাসা থেকে স্ত্রীর ওড়নায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীপুর থানার এসআই উজ্জ্বল হোসেন মল্লিক।
নিহত রাসেল মুন্না বেগ নেত্রকোনা সদরের হরিদামপুর (বাকলজোড়া) গ্রামের কাদির বেগের ছেলে। তিনি প্রায় এক বছর যাবত স্ত্রী সালমা আক্তারকে নিয়ে শ্রীপুরের ইস্রাফিল হোসেনের বাড়িতে ঘর ভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন।
২১ বছরের এ তরুণ এলাকায় রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
বাড়ির মালিক ইস্রাফিল হোসেন জানান, আট দিন আগে শ্যালিকার বিয়ের দাওয়াতে রাসেলের স্ত্রী গ্রামের বাড়ি যান। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে রাসেলের সহকর্মী ও পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া সেলিম গিয়ে তাকে কাজে যাওয়ার জন্য ডাক দেন। কিন্তু রাসেল দরজা না খুলে ঘরের ভেতর থেকে সেলিমকে কাজে চলে যেতে বলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, এর একপর্যায়ে রাসেল তার স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এসময় তার স্ত্রী শুক্রবারও বাসায় ফিরবেন না বলে তাকে জানিয়ে দেন।
এদিকে এক ঘণ্টা পরও কাজে যোগ না দেওয়ায় সকাল ৮টায় সহকর্মী সেলিম আবার তাকে ডাকতে যান। কিন্তু ডাকাকাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকে উঁকি দিয়ে রাসেলকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন তিনি।
এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির অন্যরাও এসে রাসেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
এসআই উজ্জ্বল হোসেন মল্লিক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় রাসেল মুন্নার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি তার স্ত্রীর ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছিলেন।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এসআই উজ্জল।