পুলিশ গিয়ে তামান্নার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ বিছানায় এবং পাশেই একটি বটি পড়ে থাকতে দেখে।
Published : 29 Jan 2024, 02:15 PM
নোয়াখালীতে বাসা থেকে এক দম্পতির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বলছে, দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তাদের।
সোমবার বেলা ১২টার দিকে শহরের মাইজদীর বসুন্ধরা কলোনির কচি ডাক্তারের বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে লাশ দুটি উদ্ধারের খবর জানান জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
নিহত ২২ বছর বয়সী মেহেদি হাসান শুভ সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দুলাল মিয়ার ছেলে এবং তার স্ত্রী ১৬ বছর বয়সী তামান্না ইসলাম পিনু নোয়াখালী পৌর এলাকার লিটন মিয়ার মেয়ে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, নিহতরা সম্পর্কে খালাত ভাই-বোন। গত বছরের অগাস্ট মাসে তারা নিজেদের পছন্দে বিয়ে করে কিছুদিন ঢাকাই ছিলেন। সম্প্রতি বসুন্ধরা কলোনির শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী তামান্নাকে নিয়ে ওঠেন মেহেদী। ওই বাসায় তামান্নার মা ও ভাইও থাকে।
তিনি বলেন, “তামান্নার বড় ভাই হোসাইন আহম্মদ নোমান সকালে বাসায় গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে পাশের ভবনে যান। সেখান থেকে বোনের ঘরের জানালা খুলে মেহেদীর লাশ ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেন। পরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে ঘটনাটি জানান।”
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তামান্নার গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ বিছানায় এবং পাশেই ‘হত্যায় ব্যবহৃত’ একটি বটি পড়ে থাকতে দেখে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানান।
আর বিছানার ওপর ফ্যানের সঙ্গে তার ঝুলছিল মেহেদীর মরদেহ। রুমের দেয়ালেও রক্ত দিয়ে কিছু লেখা দেখা গেছে; যার সঙ্গে মেহেদীর ডায়েরির লেখার মিল রয়েছে।
মেহেদী স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, তৃতীয় কোনো পক্ষের এ ঘটনায় সম্পৃক্ততা রয়েছে কী-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।