বাগেরহাটে এক বিকাশ এজেন্টের টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুই কারারক্ষীকে আটক করেছে পুলিশ।
গত রোববার দুপুরে আটক দুই কারারক্ষীকে বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম জানান।
আটকরা হলেন- যশোরের কেশবপুর উপজেলার প্রসাদ সরদার (৩২) এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম (৩০)। তারা বাগেরহাট জেলা কারাগারের কারারক্ষী।
ওসি বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
বিকাশ এজেন্ট মো. রমজান সাংবাদিকদের বলেন, গত শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে শহরের দশানী মোড়ের দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিন।
“বাড়ির গেইটে এলে সেখানে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা তিন ব্যক্তি আমার নামে গ্রেপ্তানি পরোয়ানা রয়েছে দাবি করে হাতকড়া পরানোর সময়ে আমার কাছে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেন। এ সময় আমি ডাকচিৎকার দিলে তারা মোটারসাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে মনিরুল ইসলাম নামে একজনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। বাকিরা পালিয়ে যান।”
রমজানের দাবি, তার ব্যাগে নগদ ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও সাতটি মোবাইল ফোন ছিল। ছয়টি ফোন পেলেও টাকা উদ্ধার হয়নি।
প্রতিবেশী শেখ বোরহান উদ্দিন বলেন, “রমজান চিৎকার দিলে আমরা সবাই এগিয়ে এসে মনিরুল ইসলাম নামে এক ছিনতাইকারীকে ধরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলি। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। আমরা এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এ ঘটনায় রোববার বিকালে রমজানের আত্মীয় সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউপির সদস্য শেখ আব্দুল আলীম বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় মামলা করেছেন বলে ওই থানার আজিজুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের হাতে আটক কারারক্ষী মনিরুলের দেওয়া তথ্যে আরেক কারারক্ষী প্রসাদ সরদারকে আটক করি। পরে বিকালে তাদের নিয়ে অভিযান চালিয়ে একটি সুপারি বাগান থেকে ছিনতাই হওয়া ছয়টি মোবাইল ফোন ও একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু টাকা পাওয়া যায়নি। তবে তাদের সাথে থাকা অপর সহযোগির নাম-পরিচয়ও পাওয়া গেছে। ওই সহযোগিকে ধরতে পারলে টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বাগেরহাট কারাগারের কারাধ্যক্ষ শঙ্কর কুমার মজুমদার বলেন, “বিষয়টি পুলিশ আমাদের জানিয়েছে। ইতিমধ্যে ঊধ্র্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। আটকদের বিরুদ্ধে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে।”