তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত করায় রাজশাহী নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
Published : 22 Jun 2023, 06:39 PM
রাজশাহী সিটি নির্বাচনকে মডেল হিসেবে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে পারে বলে মনে করেন নগরীর নবনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি এবং শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে একথা বলেন তিনি।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লিটন বলেন, আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে সবাইকে নির্বাচনে আনার। সবাই যেন আসে নির্বাচনের সেই পরিবেশ তৈরি হয়েই আছে।
“রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে মডেল হিসেবে নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে পারে। প্রয়োজনে এ কাজে আমি সহায়ক হিসেবে ভূমিকা পালন করব।”
নির্বাচন বর্জন করার পরও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী অনেক ভোট পেয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে এলেও অনেক ভোট পেতে পারত।
খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বাংলাদেশের মধ্যে একটা দৃষ্টান্ত। এখানে কোনো সহিংসতা হয়নি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে বিএনপি, জামায়াতেরও প্রার্থী ছিল। তাদের ওয়ার্ডেও দু-একটি ছোট ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটি সারা বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ হতে পারে।
তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত করায় রাজশাহী নগরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন খায়রুজ্জামান লিটন।
তিনি বলেন, “নারী ও নতুন ভোটাররা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। জয়ের ব্যাপারে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তৃতীয়বারের মতো আমাকে নির্বাচিত করেছেন।”
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবেন জানিয়ে মেয়র বলেন, “শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। সিটি এলাকা সম্প্রসারণ করা হবে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বাস সার্ভিস চালু করা সম্ভব হবে।”
নবনির্বাচিত মেয়রকে কুমারপাড়ায় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, সহ-সভাপতি শাহীন আকতার রেণী, নওশের আলী, সৈয়দ শাহাদত হোসেন, শফিকুর রহমান বাদশা, তবিবুর রহমান শেখ, নাঈমুল হুদা রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন, আহসানুল হক পিন্টু, নগর শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওয়ালী খান, নগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বাচ্চু, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল মোমিন, নগর মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সালমা রেজা, সাধারণ সম্পাদক কানিজ ফাতেমা মিতু, নগর যুব মহিলা লীগ সভাপতি ইসমত আরা, সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন নিলু, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুম মুবিন সবুজসহ অন্যরা।