জব্দ জেলেদের জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জেলে নৌকা মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
Published : 06 May 2024, 06:08 PM
চাঁদপুরে মামলা জটিলতায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার জেলে নৌকা।
পদ্মা-মেঘনায় মার্চ-এপ্রিল দুইমাস জাটকা রক্ষায় জেলেদের কাছ থেকে মাছ ধরার ৬০টি নৌকা জব্দ করেছে টাস্কফোর্স। এসব নৌকার আনুমানিক মূল্য কোটি টাকা।
মামলাসহ বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া শেষ হলে জেলেরা তাদের নৌকা নিতে পারেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
সোমবার শহরের মাদ্রাসা রোড লঞ্চঘাটের দুই পাশে অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে অভিযানে জব্দ নৌকাগুলো।
মৎস্য বিভাগ বলছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে গত ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে অবৈধভাবে নদীতে মাছ ধরতে আসা জেলেদের হাতেনাতে আটক ও তাদের হেফাজতে থাকা নৌকা জব্দ করা হয়। দুই মাসে আটক তিন শতাধিক জেলের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে জেল-জরিমানা করা হয়।
কিন্তু জেলেদের সঙ্গে থাকা জব্দ জাল আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট এবং জেলে নৌকা মামলার আলামত হিসেবে সংরক্ষণ করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
চাঁদপুর শহরের মেঘনা উপকূলীয় এলাকার জেলে রমজান আলী, ইছহাক ও মহসীন মিয়া জানান, তারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরতে নামেন। এতে তাদের দুই মাস কারাগারে থাকতে হয়েছে।
কারাগার থেকে বের হয়ে দেখেন, তাদের নৌকাগুলো নষ্ট হয়ে আছে। এখন আদালত যদি কম সময়ের মধ্যে তাদের নৌকাগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়, তাহলে তাদের জন্য উপকার হয়।
চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, জাটকা রক্ষার এবারের অভিযান খুবই কঠোর এবং সফল হয়েছে।
অভিযানে অনেক জেলে, জাল, জাটকা ও নৌকা জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে টাস্কফোর্সের অভিযানে এবং নৌ পুলিশের অভিযানেও মাছ ধরার নৌকা জব্দ হয়। সব বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জব্দ নৌকার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, “আমাদের গত দুই মাসের মৎস্য অভিযানে যেসব নৌকা জব্দ করা হয়েছে, সেগুলো পরবর্তী আইনানুগ নিষ্পত্তির জন্য কার্যক্রম চলমান আছে। এর মধ্যে আদালতের নির্দেশক্রমে কিছু নৌকা মালিক ফেরত পেয়েছেন। বাকিগুলো সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান আছে।”
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হোসেন বলেন, “এ বছর দুই মাসের অভিযানে জেলা টাস্কফোর্স ৬০টি মাছ ধরার নৌকা জব্দ করেন। এসব নৌকা বর্তমানে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। জেলা টাস্কফোর্স নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এসব নৌকা নিলামে বিক্রি করবেন। আর নৌ পুলিশের হেফাজতে থাকা নৌকা আদালতের নির্দেশের পর মালিক নিতে পারেন।”