রায় জানতে এজলাসের সামনে ভিড় করে ‘শতশত’ মানুষ।
Published : 15 Feb 2024, 02:21 PM
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির আট সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে বাগেরহাটের একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শহীদুজ্জামান জানান।
দণ্ডিতদের মধ্যে আকাশ মোল্লা, কবিরুল ও মিজানুর রহমানকে তিনটি ধারায় ৮ বছর, জহিরুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও মোর্শেদ আলমকে ৫ বছর এবং সাইফুল ও তরিকুল ইসলামকে দুটি ধারায় ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তাদের বাড়ি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে রায় ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আদালত পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। রায় জানতে এজলাসের সামনে ভিড় করে শতশত মানুষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান মামলার বরাতে বলেন, নাশকতার উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী এলাকার সাফায়েত শেখের বাগানের পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে অবস্থান নেয় জেএমবি সদস্যরা। গোপনে খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযানে গেলে জেএমবির সদস্যরা টের পেয়ে বোমা নিক্ষেপ করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে পুলিশ গুলি ছুড়ে এবং ধাওয়া দিয়ে চারজনকে গেপ্তার করতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। এ সময় গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে একটি রিভলবার, চারটি হাত বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ও বেশকিছু উগ্র মতবাদের বই জব্দ করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওইদিনই কচুয়া থানার এসআই আনসার উদ্দিন খান বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেন। কচুয়া থানার তৎকালীন পরিদর্শক হুমায়ুন কবির খান তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ১১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
রায় ঘোষণা শেষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান এই আইনজীবী।