কালিহাতী উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে বেনজীর আহমেদ টিটু এবং শুকুর মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
Published : 11 Oct 2022, 10:57 PM
টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার সল্লা প্রামাণিক মার্কেট এলাকায় এ সংঘর্ষের সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয় বলে কালিহাতী থানার ওসি মোল্লা আজিজুর রহমান জানান।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
“ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙা দেখতে পায়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বুধবার সল্লা প্রামাণিক মাঠে উপজেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজনু মিয়া।
উপজেলার রাজনীতিতে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক আহ্বায়ক শুকুর মাহমুদের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে।
বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির মো. মজনু মিয়া বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক টিটুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
কালিহাতী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শুকুর মাহমুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মোজাম্মেল হক হিরু বলেন, “উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ ও ত্যাগী নেতৃত্বকে বাদ দিয়েই এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।”
“এরই প্রতিবাদে বিকালে শুকুর মাহমুদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা সল্লা এলাকাতে যাই। নেতাকর্মীরা তখন আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে ও সম্মেলনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়।”
হিরু দাবি করেন, “প্রামাণিক মার্কেটের কাছে এলে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটুর অনুসারীরা আমাদের ওপর হামলা করে।”
এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে ফারুক হোসেন বাবু, জহিরুল, শহীদ, তপু, রঞ্জু মোল্লা, আমির হোসেন, বকুল মিয়া, জনি রহমানসহ দুপক্ষের ১০ জন আহত হন।
এ ব্যাপারে জানতে বেনজীর আহমেদ টিটুর মোবাইলে সাংবাদিকরা কল করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত কালিহাতী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মজনু মিয়া বলেন, “আমরা সবাইকে নিয়ে এবং নিয়ম মেনেই সম্মেলন করতে চাই। আমরা পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করব। একটি পক্ষ অযথাই এ ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”
উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শুকুর মাহমুদ বলেন, “উপজেলা বিএনপির ইতিহাসে এর চেয়ে খারাপ কমিটি আর কখনও হয়নি। এটি পকেট কমিটি। এই কমিটির পোড়খাওয়া নেতাদের বাদ দিয়েই সম্মেলন ডেকেছে। আমরা সরকারবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা খেয়েছি, জেল খেটেছি; কিন্তু আমাদের সম্মেলনে ডাকা হয়নি।
“এই কমিটির হাত দিয়ে আসা নেতৃত্ব আগামী দিনে সরকারবিরোধী আন্দোলনে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারবে না,” যোগ করেন শুকুর মাহমুদ।