শিবির বলছে, ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতাহাতি হয়েছে।
Published : 02 Feb 2025, 05:51 PM
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
রোববার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে বাড়তি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
হাতাহাতির ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হলেও কেউ আহত হননি বলে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান শফিক জানিয়েছেন।
ঘটনার বর্ণনায় ওসি বলেন, “সকাল থেকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম চলছিল। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল ও শিবির কর্মীদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
“এ সময় খবর পেয়ে বহিরাগতরাও কলেজ ক্যাম্পাসে ছুটে আসে। পরে পুলিশ ও কলেজ কর্তৃপক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পরবর্তী সময়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।”
বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান ওসি শফিকুল ইসলাম খান।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি শরিফুল ইসলাম খালিদ বলেন, “ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ঘটনার সঙ্গে শিবিরের কোনো কর্মী জড়িত না।
তার দাবি, “এখানে ছাত্রদলের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।”
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক নাজমুল হাসান খান বলেন, “এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করাকে কেন্দ্র করে দুই দল শিক্ষার্থীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।”
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা ইমতিয়াজ আহমেদ সিয়াম বলেন, “নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিতে ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু হঠাৎ করে যারা রেটিনা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন তাদের কয়েকজন নতুন শিক্ষার্থীদের মব শুরু করেন। এর প্রতিবাদ সাধারণ শিক্ষার্থীরা করলে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে আধ ঘণ্টার মত সব কার্যক্রম বন্ধ থাকে। যারা এই কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তারা রেটিনা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন; আর রেটিনা কারা চালায় তা আপনারা বুঝে নেন।”