মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
Published : 16 Aug 2024, 12:29 PM
বগুড়ায় বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৮২ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক রহিমা খাতুন মেরি বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি সাইহান ওলি উল্লাহ।
মামলায় আসামি করা হয়েছে- বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বগুড়া-৫ আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য মজিবর রহমান এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য রাগেবুল আহসানকে।
এ ছাড়া মামলার আসামি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম, এ কে এম আসাদুর রহমান, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফি নেওয়াজ খান ও বগুড়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হাসান, বগুড়া জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শুভাশীষ পোদ্দার, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলামসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার নেই।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় বগুড়া শহরের নওয়াববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালান।
এ সময় কার্যালয়ের তালা ভেঙে চেয়ার-টেবিল, টেলিভিশনসহ বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়া আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য দলীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবদুল বাসেত বলেন, “যারা এত দিন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে, বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়ে নির্যাতন করেছে, ছাত্র আন্দোলন দমাতে যারা হামলা, মামলা ও খুন-হত্যায় ইন্ধন দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে একটি মামলা হয়েছে। আরও মামলার প্রস্তুতি চলছে।”
সদর থানার ওসি সাইহান ওলি উল্লাহ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে।