পুলিশের ভাষ্য, তাদের কাছে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে আটকের তথ্য নেই।
Published : 04 Nov 2023, 05:32 PM
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে ডিবি পরিচয়ে বিএনপির এক নেতাসহ পাঁচজনকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভৈরব উপজেলায় রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে দলটি।
তবে কিশোরগঞ্জ জেলা ডিবির ওসি আবুল বাসার বলেছেন, তাদের কাছে বিএনপির কোনো নেতাকে আটক কিংবা নিখোঁজের তথ্য নেই।
যাদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলমও রয়েছেন। তিনি কুলিয়ারচরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি।
ভৈরব উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “সাদা পোশাকে একদল পুলিশ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পৌর শহরের কমলপুর এলাকার মাজহারুল ইসলামের বাসা থেকে শরিফুল আলম, তার গাড়িচালক মো. রতন মিয়া ও মাজহারুলকে আটক করে নিয়ে গেছে।
“এর আগে রাত ১টার দিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল হককে ভৈরব রেলস্টেশন থেকে আটক করা হয়। তিনি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে ভৈরবে আসছিলেন। পরে ভোরে শহরের কমলপুরে নিজ বাড়ি থেকে ভৈরব উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ।”
ভৈরব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান বলেন, “মামলা আর গ্রেপ্তার করে আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে চাইছে সরকার। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারের দমন-পীড়নের প্রতিবাদ করা না গেলে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা যাবে না।”
রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি সফল করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।