আগের দিন দুপুরে সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ভগ্নিপতিকে আটক করে পুলিশ।
Published : 11 Jun 2024, 08:48 PM
রংপুরে গ্রেপ্তার ভগ্নিপতির দেওয়া তথ্যে নিখোঁজের ৮ দিন পর ধান ক্ষেতে মিলল শ্যালকের লাশ।
মঙ্গলবার বিকালে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন।
এর আগে সোমবার রাতে পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের মদকপাড়া গ্রামের একটি ধান ক্ষেত থেকে অর্ধগলিত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত রুবেল মিয়া (১৫) উপজেলার ছোট কল্যাণী তালতলা গ্রামের বেলাল হোসেনের ছেলে ও একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে মারুফ হোসেন বলেন, ২ জুন রাত ৯টার দিকে বড়দরগা বাজারে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হয় রুবেল মিয়া। ছেলের সন্ধান না পেয়ে বাবা বেলাল হোসেন ৩ জুন রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকার মাহিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
এরপর সন্দেহভাজন হিসেবে রুবেলের ভগ্নিপতি হাসান আলী আপেলকে সোমবার দুপুরে আটক করে পুলিশ।
মারুফ হোসেন বলেন, “আমরা ডায়েরির পর থেকে প্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করি নিহতের ভগ্নিপতি হাসান আলী আপেলকে।
“তার দেওয়া তথ্যে রুবেল মিয়ার মরদেহ ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসানের বন্ধু সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরো বলেন, “শ্বশুরের সম্পত্তি ভোগদখল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন হাসান আলী আপেল।
রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, “ছেলে নিখোঁজের পর অনেক খোঁজাখুঁজির করে কোনো সন্ধান না পেয়ে মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনের নাম দিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করি। পরে পুলিশ একজনকে আটক করে তার দেওয়া তথ্যে আমার ছেলের মরদেহ ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে।
“পারিবারিক দ্বন্দ্ব থেকে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার চাই।”