কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারছে না এবং ভেতর থেকে কেউ বেরও হতে পারছে না।
Published : 12 Sep 2024, 04:18 PM
অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দুইদিন থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে নোয়াখালীর আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ।
বৃহস্পতিবার মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শ্লোগান দিতে দেখা যায়।
তবে বুধবার থেকে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌরাস্তা সংলগ্ন এই কলেজের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ক্যাম্পাসে কেউ ঢুকতে পারছে না এবং ভেতর থেকে কেউ বেরও হতে পারছে না।
এর আগে রোববার সকালে ‘স্বৈরাচার’ আখ্যা দিয়ে মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইন, উপাধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রিয়াজ উদ্দিন ও সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
এসব দাবি আদায়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা।
এরপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে না নেওয়ায় বুধবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, “আমরা অধ্যক্ষ ও চার শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছি। কিন্তু তারা কালক্ষেপণ করছে তবে পদত্যাগ করছে না।”
তিনি বলেন, “প্রয়োজনে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিব, তাও তাদের পদত্যাগ করতেই হবে। পদত্যাগ ছাড়া তাদের কোনো পথ নেই।”
আতিক নামের আরেক আন্দোলকারী বলেন, “আমাদের একটাই দাবি, খুনি ও স্বৈরাচার হাসিনার দোসর অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, শিক্ষক ডা. কামরুল হোসাইন ও ডা. রিয়াজকে অপসারণ করতে হবে। ”
এ শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে চাই। কিন্তু তাদের পদত্যাগ না করিয়ে আমরা ফেরত যাব না। তারা আমাদের দাবি মেনে নিক৷ তারপর সব সহজ হবে। নাহয় আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন হবে।”
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষের বক্তব্যের জন্য তাদের কাউকে ক্যাম্পাসে বা ফোনে পাওয়া যায়নি।
তবে সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, “শিক্ষার্থীরা কী কারণে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। “
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের সরাসরি জবাব না দিয়ে তিনি বলেন, “আমি সব সময় শিক্ষার্থীদের ভালো চেয়েছি। তাদের এবং কলেজের অমঙ্গল হয় এমন কোনো কাজ কখনো করিনি, সামনেও করব না।”