পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরা ওই থানায় গিয়েছেন।
Published : 19 Mar 2025, 12:04 AM
‘চাঁদার দাবিতে’ গিয়ে আটক হওয়া ব্যক্তিদের ‘ছাড়িয়ে নিতে’ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল থানা অবরুদ্ধ করে পুলিশ সদস্যদের মারধর করেছেন বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী।
মঙ্গলবার বিকালের এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন সাতজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিককে আটক করেছেন।
তবে যাদের ছাড়াতে থানায় জড়ো হয়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা সেই তিনজনকে ছাড়াতে পারেননি তারা।
ক্ষেতলাল থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, পুলিশ হেফাজতে থাকা তিনজনকে ছিনিয়ে নিতে শতাধিক মানুষ থানায় আসেন। পুলিশ বাধা দিলে তাদের মারধর করে থানা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেন জেলা পুলিশের সদস্যরা।
বিএনপি নেতাকর্মীদের মারধরে আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন কাজী জাফর ও সুমন। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন (৩৫), একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম (২৭), বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক (৩৭) ও আব্দুল মমিন (৩৮)।
ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের দাবি, জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য তিনি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে যান। সেখানে স্থানীয় পৌর বিএনপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির কর্মী মাসুদ চৌধুরী, গোলাম মওলা ও জুয়েল তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তোফাজ্জলের অভিযোগ, চাঁদা না দেওয়ায় তারা বিষয়টি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে জানায়। পরে পার্থ এসে হুমকি দেয়, চাঁদা না দিলে রেজিস্ট্রি হবে না। তাকে বাধা দিতে গেলে তোফাজ্জলসহ তার চার আত্মীয়কে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ সেসময় তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে থানা থেকে আটক তিনজনকে ছাড়াতে সেখানে যান বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী। তাদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ও সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ছিলেন বলে পুলিশ জানায়।
খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা পুলিশের সদস্যরাও ক্ষেতলাল থানায় যান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, “এ ঘটনায় দলের কারো দোষ থাকলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।”
ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, “এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”