ইজারা এলাকার বাইরেও তারা খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইজারাবিহীন জায়গা থেকেও ড্রেজারে বালু-পাথর আহরণ করছে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।
Published : 27 Aug 2024, 05:26 PM
সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটার তীর কেটে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার শিক্ষার্থীরা জেলা সদরে এসে এই কর্মসূচি পালন করেন।
শিক্ষার্থীরা শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে মানববন্ধন করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। পরে তারা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি দেন।
এ সময় শিক্ষার্থী মো. আজিজুর রহমান বলেন, “আমরা এলাকার মানুষের আর্তনাদ শুনে প্রাকৃতিক নদী যাদুকাটা রক্ষায় এগিয়ে এসেছি। যেভাবে নদীর তীর কাটা হচ্ছে তাতে এলাকার অনেক ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে যাবে। মুছে যাবে ইতিহাস ও ঐতিহ্য। এখনই লোভীদের থামানো না গেলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।”
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ইজারার নামে একটি সিন্ডিকেট প্রকৃতিবিনাশী কাজ করছে যাদুকাটা নদীতে। তারা ড্রেজার মেশিনে নদীর তীর কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করছে। ইজারা এলাকার বাইরেও তারা খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ইজারাবিহীন জায়গা থেকেও ড্রেজারে বালু-পাথর আহরণ করছে। ফলে এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি হুমকিতে পড়েছে।
বিশেষ করে জয়নাল আবেদিন শিমুল বাগানও এখন হুমকিতে। এখনো নদীর তীর কেটে দুষ্কৃতকারীরা বালু-পাথর আহরণ করে প্রকৃতিবিনাশী কাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় থানার ওসি এস এম মাইনুদ্দিন, এসআই হেলাল, রানু মেন্বার, নোয়াজ আলী মেম্বারসহ স্থানীয় সুবিধাভোগী চক্র জড়িত বলে অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, চক্রটি প্রতি রাতে যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উত্তোলন করছে। বিষয়টি অনেকবার প্রশাসনকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
এর আগেও ছাত্র-জনতা ও এলাকাবাসী এই দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।