“যখন নির্বাচনের শিডিউল দেওয়া হয় তখন তীব্র দাবদাহ ছিল না।”
Published : 29 Apr 2024, 03:10 PM
দেশজুড়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা তাপপ্রবাহের জন্য যেখানে কোনো কিছুই বন্ধ রাখা হয়নি; সেখানে উপজেলা নির্বাচন বন্ধ রাখা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
সোমবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “ভোটের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে, এর মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হয়। তা না হলে আইনগত সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনিক, রাজনৈতিক সমস্যা এবং শান্তি শৃঙ্খলাও বিঘ্ন ঘটে। এ জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদের আগেই নির্বাচন শেষ করতে হয়।”
ইসি আলমগীর বলেন, “যখন নির্বাচনের শিডিউল দেওয়া হয় তখন তীব্র দাবদাহ ছিল না। আপনারা জানেন যে, ভারতে খরা চলছে। যা আমাদের থেকেও বেশি। তারা খরার মধ্যে তাদের জাতীয় নির্বাচন বন্ধ রাখেনি।
“আমাদের এখানে প্রথম না, প্রতিবছরই তাপমাত্রা বাড়ছে। ভবিষ্যতে হয়ত এটা নিয়েই আমাদের বাঁচতে হবে। এর মধ্যেই জীবনযাত্রা চালাতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের বাহ্যিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাপপ্রবাহের জন্য কোনো কিছুই বন্ধ রাখিনি।”
এই নির্বাচন কমিশন বলেন, “আমাদের অধিকাংশ কেন্দ্র স্থায়ী। সেখানে পাকা ভবন ও গাছপালা আছে। ভোটাররা ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে। প্রতিটা ভোটকেন্দ্রে পানির ব্যবস্থা থাকবে। আর ভোটাররা তো ভোট দিয়েই চলে যাবে, ভোট কেন্দ্রে তো বসে থাকবে না। এ জন্য খুব বেশি সমস্যা হবে না।”
তিনি বলেন, “এর মধ্যে কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই হয়েছে। তাপদাহে যে কোনো সমস্যা হয়েছে এমন খবর পাইনি।”
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এমপি, মন্ত্রীরা প্রভাব বিস্তার করলে আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসি আলমগীর।
রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার জিএম আবুল কালাম আজাদসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলার সব থানার ওসি।