বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রস্তাবে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
Published : 15 May 2024, 08:16 PM
বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ৬০৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৫টি ৩৩/১১ কেভি বৈদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন করবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৫টি পৃথক লটে এসব উপকেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে ক্রয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী বৈঠকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, ‘পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন এবং ক্ষমতাবৃদ্ধি (খুলনা বিভাগ) প্রকল্পের’ পাঁচটি প্যাকেজে এই ২৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব পাস হয়েছে।
প্যাকেজ নম্বর কেডি-ডব্লিউ-১ এর আওতায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা, প্যাকেজ নম্বর কেডি-ডব্লিউ-২ এর আওতায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণে ১৩৩ কোটি ৩৮ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ টাকা, প্যাকেজ নম্বর কেডি-ডব্লিউ-৩ এর আওতায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা, প্যাকেজ নম্বর কেডি-ডব্লিউ-৪ এর আওতায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা, প্যাকেজ নম্বর কেডি-ডব্লিউ-৫ এর আওতায় ৫টি উপকেন্দ্র নির্মাণে ১১৩ কোটি ৯৯ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৮ টাকা ব্যয় হবে।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃথক প্রস্তাবে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া, ৪০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশনের কাছ থেকে ১২৫ কোটি ৪০ লাখ টাকায় ৪০ হাজার টন এমওপি সার কেনা হচ্ছে। প্রতিটনের মূল্য ২৮৫ ডলার।
সৌদি আরব থেকে ২২৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনা হচ্ছে। প্রতিটনের মূল্য ৫১৯ ডলার। কাতারের মুনতাজাতের কাছ থেকে ৯২ কোটি ২৯ লাখ ১১ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হচ্ছে। প্রতি টনের মূল্য ২৮৯ দশমিক ৬৭ ডলার।
এছাড়া সৌদি আরবের কাছ থেকে৯১ কোটি ১৩ লাখ ৬১ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনায় প্রতিটনের দাম পড়বে ২৭৬ দশমিক ১৭ ডলার।
আর কাফকোর কাছ থেকে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হচ্ছে। প্রতি টন ২৮৯ দশমিক ৫০ ডলার।
বৈঠকে সার গুদামজাত করার জন্য উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় ৬৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন চারটি বাফার গুদাম নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ২৬৪ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা।
জয়পুরহাটে ১৫ হাজার টন, সিরাজগঞ্জে ২০ হাজার টন, লালমনিরহাটে ১০ হাজার টন এবং দিনাজপুরে ২০ হাজার টন ধারণ ক্ষমতার বাফার গুদাম নির্মাণ করা হবে।