ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে সদস্য পদের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হতে হয়।
Published : 17 Jul 2023, 07:50 PM
বরিশাল ক্লাবের সভাপতি পদে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বহাল থাকায় কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না- সে ব্যাপারে জানতে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে করা এক ক্লাব সদস্যের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে সোমবার বরিশালের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. হাসিবুল হাসান এ নির্দেশ দেন।
আবেদনে এক নম্বর বিবাদী সভাপতির পাশাপাশি দুই নম্বর বিবাদী সাধারণ সম্পাদকের নামের শোকজ পাঠানো হবে বলে বাদী পক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান জানান।
গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে বরিশাল ক্লাবের সভাপতি পদ দখল, বেআইনি ও অবৈধ কাজ করা এবং পদ না ছাড়ার ঘোষণাা দেওয়ায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।
বাদী ক্লাবের ৪৬২ নম্বর সদস্য মফিজুর রহমান চৌধুরী নগরীর দক্ষিণ আলেকান্দা আমতলা এলাকার মৃত মনু চৌধুরীর ছেলে।
আইনজীবী আজাদ রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে বিবাদী করা হলেও তার নাম ও তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।
আদালতের সেরেস্তাদার আব্দুল কাদের খান বলেন, আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল ক্লাবের ৬৭৬ নম্বর সদস্য। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকও।
আইনজীবী আজাদ রহমান বলেন, বরিশাল ক্লাবের একটি গঠনতন্ত্র রয়েছে। গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ৩২ এর ক-ঘ ধারা অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পর বার্ষিক সাধারণ সভা হবে। সভায় ক্লাবের স্থায়ী ও আজীবন সদস্যদের ভোটে সভাপতি/চেয়ারম্যান ও ১০ জন পরিচালক নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত পর্যদের প্রথম সভায় সভাপতি ক্লাবের সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিচালকদের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করে দিবেন।
তিনি আরও বলেন, ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচন করতে হলে সদস্য পদের মেয়াদ ১০ বছর পূর্ণ হতে হবে। বর্তমান সভাপতি সাদিক আবদুল্লাহ ২০১৬ সালের ২০ অগাস্ট সদস্য হয়েছেন। ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ২০২৬ সালের ১৯ আগস্ট তিনি সভাপতি হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন।
“কিন্তু সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ গঠনতন্ত্রের ৩২ (খ) লংঘন করে ২০১৯ সালের ৮ মার্চ সভাপতির পদ দখল করেন।”
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, সাদিক আবদুল্লাহ ক্লাবের স্বার্থ পরিপন্থি বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করেন। তাকে ক্লাবের পদ ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ৭ জুলাই পদ ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরই মামলার আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বরিশাল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম পরান সন্ধ্যায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু আদালত কী আদেশ দিয়েছে তা জানি না। আমার কাছে কোনো কাগজ-পত্রও আসেনি।”