প্রশিক্ষণ শেষে ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আয়োজনের কথা ছিল। কিন্তু ‘অনিবার্য কারণবশত’ ৯ ডিসেম্বর তা স্থগিত করা হয়।
Published : 12 Jan 2025, 06:50 PM
রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল-টিআরসি ১৬৭তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হয়েছে।
রোববার সকালে পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভূঞা প্রধান অতিথি ছিলেন। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।
কুচকাওয়াজে ৩৩৪ জন কনস্টেবল অংশ নেন। পরে বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ট্রেইনি কনস্টেবলদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সাজ্জাদুল ইসলাম বেস্ট টিআরসি নির্বাচিত হন।
এছাড়া বিষয়ভিত্তিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের মধ্যে বেস্ট একাডেমিক হিসেবে সুমন আলী, বেস্ট ইন ফিল্ড এক্টিভিটিজ এবং বেস্ট শ্যুটার হিসেবে পৌরব চন্দ্র রায় নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে কোর্স ডিরেক্টর পুলিশ সুপার তানভীর সালেহীন ইমনসহ পুলিশের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা ছিলেন।
গত বছরের ২৪ জুন ৩৪৪ জন ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের ছয়মাস মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০ ডিসেম্বর। আর ১৯ ডিসেম্বর প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছিল।
কিন্তু ৯ ডিসেম্বর ‘অনিবার্য কারণবশত’ এই কুচকাওয়াজ স্থগিত করে দেওয়া হয়।
গত ৩ জানুয়ারি প্রশিক্ষণরত পুলিশের আট কনস্টেবলকে অব্যাহতি দিয়ে একাডেমি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে প্রশিক্ষণরত অন্য কনস্টেবলরাও আতঙ্কে ছিলেন।
অবশেষে রোববার প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ হওয়ায় তাদের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।
এদিকে, ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর একাডেমিতে ৮২৩ জন ক্যাডেট এসআইয়ের এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। গেল বছরের ৪ নভেম্বর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও প্রশিক্ষণ শেষ হয়নি।
গত ২৬ নভেম্বর সমাপনী কুচকাওয়াজের জন্য দিন ঠিক করা হলেও পরে স্থগিত করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে সম্প্রতি চার দফায় মোট ৩২১ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ গত ২৯ ডিসেম্বর আটজনের কাছে ব্যাখ্যা তলবের পর তাদেরও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের বিরুদ্ধে ‘নাস্তা না খেয়ে বিশৃঙ্খলা’ ও প্রশিক্ষণ চলাকালে ‘হইচই করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ব্যাচে এখন ৫০২ জন এসআই টিকে আছেন প্রশিক্ষণে।
এছাড়া ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর ৪০তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৭১ জন শিক্ষানবিশ এএসপির এক বছর মেয়াদী মৌলিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।
গেল বছরের ২০ অক্টোবর প্রশিক্ষণ শেষে কুচকাওয়াজ হওয়ার কথা ছিল।
আগের রাতে হঠাৎ করে এই পাসিং আউট অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়। এরপর ২৪ নভেম্বর আবারও সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের দিন ঠিক করা হলেও ১৮ নভেম্বর তাও স্থগিত করা হয়।
এরপর গত ১৫ ডিসেম্বর ব্যাচের ৭১ এএসপির মধ্যে ২৫ জনের কাছে কৈফিয়ত তলবের চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে ‘প্যারেডে দৌড় না দিয়ে এলোমেলোভাবে হাঁটা’র অভিযোগ আনা হয়েছে। কৈফিয়তের জবাব দিতে তাদের তিন দিন সময় দেওয়া হয়। এএসপিরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লিখিত জবাব দিয়েছেন। যদিও তাদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।