৩০ হাজার কৃষকের এক বেলা খাবার বাবদ ৬০ লাখ, ১০০ ভিআইপি অতিথির জন্য ৫০ হাজার এবং স্টেজ-লাইটিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে।
Published : 22 Jan 2025, 10:28 PM
কুড়িগ্রামে জেলে-তাঁতী-কৃষক মহাসমাবেশের জন্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চেয়ে করা আবেদনকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।
‘উত্তরবঙ্গ কৃষক মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন গণকমিটি’র পক্ষে আহ্বায়ক নাহিদ হাসান নলেজ মঙ্গলবার মোট সাড়ে ৬৫ লাখ টাকা চেয়ে এ আবেদন করেন। একদিন পর বুধবার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছে।
নাহিদ হাসান নলেজ কুড়িগ্রামের একজন সংগঠক, যিনি উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জাতীয় দৈনিকে লেখালেখি করেন। ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাকে শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে নিয়োগ দেয়।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আরেক ভিডিওতে নলেজ বলেন, “যারা হইচই করছেন তারা কৃষকের স্বার্থের বিরুদ্ধে গিয়ে কৃষক সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছেন।”
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ২৬ জানুয়ারি হতে যাওয়া ওই সমাবেশের জন্য বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমরা কৃষকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করে আসছি। কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। সমাবেশকে বিতর্কিত করতে একটি মহল এমনটি করেছে।”
তার ভাষ্য, সরকার এ আবেদন ন্যায়সঙ্গত ও আইনানুগ মনে করলে বরাদ্দ দেবে। রাষ্ট্রের নাগরিক ও সংগঠন হিসেবে ন্যায়সঙ্গত দাবি করা নিশ্চয়ই কোনো অন্যায় নয়।”
চিলমারীর জোড়গাছে সফিউল আলম রাজা স্টেডিয়ামে এ কৃষক মহাসমাবেশে রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের লক্ষাধিক কৃষক উপস্থিত থাকবেন বলে চিঠিতে বলা হয়েছে।
আয়োজকরা বলছেন, সরকারের দুই উপদেষ্টা সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন।
তাদের দাবি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার সমাবেশের উদ্বোধন এবং ফারুক-ই- আজমের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার সম্মতি পেয়েছেন তারা।
কৃষক সমাবেশকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামসহ উপজেলা পর্যায়েও প্রচার চালানো হচ্ছে। বিতরণ করা হচ্ছে প্রচারপত্র। কর্মীরা গণচাঁদাও সংগ্রহ করছেন।
ভাইরাল হওয়া চিঠিতে দেখা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসককে মাধ্যম করে দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে সাড়ে ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়। মহাসমাবেশের ৩০ হাজার কৃষকের এক বেলা খাবার বাবদ ৬০ লাখ, ১০০ ভিআইপি অতিথির জন্য ৫০ হাজার এবং স্টেজ-লাইটিংসহ অন্যান্য খরচ বাবদ ৫ লাখ টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে।
নলেজ বলেন, “আমরা স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা মাধ্যমে ব্যয়িত অর্থের হিসাব সরকারকে দেব।”