“এখন রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে।”
Published : 17 Apr 2023, 06:48 PM
বিভিন্ন নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
তিনি বলেন, “আপনি চেয়ারে আছেন বলে মনোনয়ন পাবেন এমনটা ভাববেন না। শেখ হাসিনা এবার নিজের সংগৃহীত তথ্য ও মাঠ যাচাই করে মনোনয়ন দেবেন। সামনে অনেক ষড়যন্ত্র আসছে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হবে। দলকে ঐক্যবদ্ধ করে মাঠে থাকতে হবে।”
সোমবার দুপুরে মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাফর উল্লাহ বলেন, “যারা মন্ত্রী-এমপি আছেন, ভাবছেন সব মানুষ আপনাদের। কিছু মানুষ আছে যারা আপনাদের পিছনে থেকে ‘ইয়েস স্যার’, ‘ইয়েস স্যার’ করেন। এদেরকে চিহ্নিত করুন। কারণ এদের দিয়ে আপনার জনপ্রিয়তা নির্ণয় করলে ভুল হবে।”
এ সময় বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, “আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দলকে হুমকি-ধামকি দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আমরা একাত্তরে আলবদর-রাজাকারদের পরাস্ত করেছি। প্রয়োজন হলে আবার তাদেরকে পরাজিত করা হবে।”
সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার সাম্প্রদায়িক সব অপশক্তি দমন করে রেখেছেন। তবে দেশি-বিদেশি প্ররোচণায় তারা প্রায় সময়ই দেশের স্বাভাবিক অবস্থা বিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। তাই সরকার, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচাই-বাছাই করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এখন রাজাকারদের নামের তালিকা তৈরি করা হবে। আইন সংশোধনের মাধ্যমে সেই কাজটি করার পথ খুলে গেছে।”
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন।
মুজিবনগর দিবস পালনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এর পর শেখ হাসিনা মঞ্চের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মন্ত্রী।
এ সময় পুলিশ, বিজিবি, আনছার সদস্যের গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, গালর্স গাইড, বিএনসিসি কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, একাত্তরের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম সরকারের গার্ড অব অনার প্রদান বাহিনীর প্রদান আব্দুল হান্নান, মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।