নেতিবাচক আড্ডা থেকে তরুণ সমাজকে ফেরাতে এই অস্থায়ী লাইব্রেরি গড়ে তোলা হয়েছে।
Published : 26 Jan 2025, 12:58 AM
শেরপুর সদরে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ এ জেলার ৩৩ জন কবি-সাহিত্যিকের লেখা বই প্রদান করা হয়েছে।
গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের আয়োজনে শনিবার বিকালে শহরের ডিসি উদ্যানের এই অস্থায়ী লাইব্রেরিতে এসব বই প্রদান করা হয়।
গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় সেখানে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কবি ও সাংবাদিক রফিক মজিদ।
এ সময় শেরপুরের বিশিষ্ট লেখক জ্যোতি পোদ্দার এবং শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম আলো বক্তব্য দেন।
বক্তারা বলেন, ডিসি উদ্যানে শহরের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের পাশাপাশি স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারা বেড়াতে আসেন। কাগজের বই বিমুখ যুবসমাজের হাতে বই তুলে দেওয়া এবং ইন্টারনেটের নেতিবাচক প্রভাব থেকে উন্মুক্ত স্থানে বই পড়ার পাঠাভ্যাস করার উদ্দেশ্যে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ করা হয়েছে।
প্রতি শুক্র ও শনিবার বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ডিসি উদ্যানে বেড়াতে আসা শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য পেশার মানুষ এই লাইব্রেরি থেকে বই সংগ্রহ করে পড়তে পারেন। এর মধ্যে এই লাইব্রেরির সংগ্রহে চার শতাধিক বই রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুরের ৩৩ জনের লেখা বই প্রদান করা হয়।
গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক রফিক মজিদ বলেন, সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলার বিভিন্ন লাইব্রেরিতে শেরপুরে লেখকদের বই সরবরাহ করা হয়েছে। আজকে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ এর মত ব্যতিক্রমী আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে কিছু বই প্রদান করা হলো।
শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি রাহাতুল ইসলাম আলো বলেন, শহরের বিভিন্ন পার্কে অযথা আড্ডা এবং নেতিবাচক আড্ডা থেকে তরুণ সমাজকে ফিরিয়ে আনতে এই কাগজের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি লক্ষে ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ গঠন করা হয়েছে।
শুরুতে শহরের ডিসি উদ্যানে এক মাস ধরে সপ্তাহে দুই দিন ‘সাইলেন্ট বুক রিডিং’ স্থাপন করলেও আগামীতে শহরের বিভিন্ন পার্কে পর্যায়ক্রমে এর বিস্তার ঘটানো হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে গাঙচিল সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি কবি রাবিউল ইসলাম, কবি হাসান শরাফত, কবি এম এইচ মুকুল, কবি খালিদুর রহমান, সাংবাদিক কাজী মাসুম, সাংবাদিক শফিউল আলম সম্রাট, শেরপুর সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সহসভাপতি সাদিকা তাবাসসুম, মো. জয়নাল আবেদীন জয়, সাবিনা ইয়াসমিন এবং ইয়ামনি উপস্থিত ছিলেন।