বেতন-বোনাসের জন্য পোশাক শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে

সন্ধ্যায় লারিজ ফ্যাশন লিমিটেড নামে কারখানার কয়েকশ শ্রমিক মদনপুর এলাকায় মহাসড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই পথে চলাচলকারী পরিবহনের চালক ও যাত্রীরা।

সোমবার সন্ধ্যায় লারিজ ফ্যাশন লিমিটেড নামে কারখানার কয়েকশ শ্রমিক উপজেলার মদনপুর এলাকায় মহাসড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এতে চট্টগ্রামমুখী লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। রাত ৮টার দিকে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিলেও মহাসড়কের ওই লেনে যানচলাচল রাত ৯টা পর্যন্ত স্বাভাবিক হয়নি।

তবে, মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান ঘটনাস্থলে থাকা কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই শরীফুল ইসলাম।

শ্রমিকরা জানান, মাসের শুরুর দিকে বেতন ও বকেয়াসহ ঈদ বোনাস পরিশোধ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা করছে না। সোমবার মে মাসের বেতন পরিশোধ করলেও বকেয়া ওভারটাইমের টাকা ও ঈদ বোনাস দেয়নি। বকেয়া পরিশোধের দাবি করলে উল্টো এক শ্রমিককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

শিল্প পুলিশ-৪ নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “বকেয়া ওভারটাইমের টাকা ও ঈদ বোনাসের দাবি নিয়ে শ্রমিকরা গেলে ম্যানেজমেন্টের একজন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। শুনেছি, এক নারী শ্রমিককে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলে অন্য শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।

“পরে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। মালিক কর্তৃপক্ষ আগামীকালের মধ্যে শ্রমিকদের ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস প্রদানের আশ্বাস দিলে প্রায় দুই ঘণ্টা পর শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ তুলে নেয়”, বলেন শিল্প পুলিশের এই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে লারিজ ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস ভূঁইয়া মামুন বলেন, “মে মাসের বেতন আজ পরিশোধ করা হয়েছে। ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস আগামীকাল (মঙ্গলবার) দেওয়া হবে। সেটি আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

“তারপরও শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে থাকলে কারখানা কর্তৃপক্ষের কিছু করার থাকে না। তবে, শ্রমিকদের সঙ্গে কেউ খারাপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”