১৫টি কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিল, রোববার চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ।
Published : 22 Sep 2024, 07:42 PM
সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের জামগড়া থেকে জিরাবো এলাকায় অবস্থিত এসব কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শ্রমিকরা কাজ বন্ধ রেখে কারখানার অভ্যন্তরে ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণের দাবিতে স্লোগান দেন।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, “ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা দাবি তুলে কয়েকটি কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছেন।”
তিনি বলেন, “শিল্পাঞ্চলে আজও বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারায় কমফিট কম্পোজিট লিমিটেড, নাসা সুপার কমপ্লেক্স লিমিটেড, সেতারা গ্রুপ, শিন শিন অ্যাপারেলস লিমিটেড, জেনারেশন নেক্সট, ভিনটেজ গার্মেন্টস লিমিটেড, আঞ্জুমান ডিজাইনার্স লিমিটেডসহ ১৫টি কারখানা অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। এ ছাড়া চারটি কারখানায় সাধারণ ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।”
শ্রমিকরা জানান, ডেকো গামের্ন্টস, এনভয় গামের্ন্টস, সেতারাসহ বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা মজুরি নির্ধারণের দাবিতে বিক্ষোভ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে চারটি কারখানা কর্তৃপক্ষ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করে। তখন পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ গার্মেন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল মামুন মিন্টু বলেন, “জামগড়া থেকে জিরাবো দিকে ডেকো গার্মেন্টস, ভার্চুয়াল, ইউফোরিয়াসহ কয়েকটি ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। অনেক ফ্যাক্টরিতেই ছুটি ঘোষণা করেছে। শ্রমিকরা রাস্তায় আসার চেষ্টাও করছে।
“কোনো কোনো ফ্যাক্টরির ভিতরে শ্রমিকদের সঙ্গে মারামারিও হয়েছে। তবে কিছু কিছু শুনেছি শ্রমিকরা ২৫ হাজার টাকা মজুরি বৃদ্ধির দাবি করছে। আবার কেউ কেউ ২৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্টের দাবিও তুলছে।”
শ্রমিক নেতা মিন্টু দাবি করেন, “পলাশবাড়ী এলাকার একটি গার্মেন্টে অসন্তোষ সৃষ্টির অভিযোগে বৃহস্পতিবার ৭৫ শ্রমিককে টারমিনেশন করেছে কর্তৃপক্ষ।”
কয়েকদিন ধরেই সাভার, আশুলিয়া ও গাজীপুরের শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে। এতে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়ে আসে। শ্রমিকরা উৎপাদনে ফিরে।
এর মধ্যে ১৭ সেপ্টেম্বর আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাসকট গার্মেন্টসের মূল ফটকে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যান কারখানার সহকারী সেলাই মেশিন অপারেটর রোকেয়া বেগম।