ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভোটে আছেন আওয়ামী লীগের মঈন, সাবেক এমপি জিয়াউল

জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউল হক মৃধা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2023, 06:35 PM
Updated : 5 Jan 2023, 06:35 PM

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র তুললেও জমা দিয়েছেন ১৩ প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপ-নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দিয়েছেন ১৩ জন।

৮ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি এ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট হবে।

আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগে সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মঈন উদ্দিন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন, বাংলাদেশ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম, সরাইল উপজেলার আবদুর রহিম, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু আসিফ আহমেদ, মোহন মিয়া ও শাহ মফিজ।

দলীয় প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত দলটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মনোনীত মো. রাজ্জাক হোসেন এবং জাকের পার্টির মনোনীত জহিরুল ইসলাম।

জাতীয় পার্টি থেকে প্রথমে মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঞা (জিয়াউল হক মৃধার জামাতা)। পরে প্রার্থী পরিবর্তন করায় রেজাউল আর মনোনয়ন জমা দেননি।

এ ছাড়া বাংলাদেশ আইন পরিষদের সভাপতি কামরুজ্জমান আনসারি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া ও ইউনির্ভাসেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি।

বিগত নির্বাচনেও এই আসনটি আওয়ামী লীগ উন্মুক্ত রেখেছিল। সেবারও প্রার্থী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মঈন উদ্দিন। তিনি সেবার বিএনপির প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তারের কাছে হেরেছিলেন। তবে এই আসনে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে তিনি সর্বোচ্চ পেয়েছিলেন। ফলে এবারও তিনি প্রার্থী হওয়ায় বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।

অপরদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন জিয়াউল হক মৃধা। তিনিও এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে আলোচনায় আছেন। যদিও এখন তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত।