সংঘর্ষের পর আরও একজনের মরদেহ নেওয়া হয়েছে হাসপাতালে।
Published : 04 Aug 2024, 07:07 PM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ডাকা অসহযোগের মধ্যে কিশোরগঞ্জে এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় দুটি মরদেহ নেওয়া হয়েছে জেলা সদর হাসপাতালে।
অন্য এক তরুণের মরদেহ নেওয়া হয়েছে সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ডাকা ‘অসহযোগ’ আন্দোলনের মধ্যে শহরে সংঘর্ষে প্রাণহানি ছাড়াও আহত হয়েছে আরো শতাধিক। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থাই গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
সকালে পুরানথানা এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়। দুপুর ১২ টার দিকে মিছিল নিয়ে গৌরাঙ্গ বাজার আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে পৌঁছলে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে স্থান ত্যাগ করে। পরে আওয়ামী লীগ অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অফিসের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
পরে খরমপট্টি এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর বাসভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ।
আশফাক আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের চাচাত ভাই। টিটু গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তিনি সৈয়দ আশরাফের ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ শাফায়াতুল ইসলামকে সমর্থন জানিয়ে সরে যান।
ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসার আগেই বাড়িটি পুড়ে যায়। স্থানীয় সংবাদকর্মী রকিবুল হাসান রোকেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি এই বাড়ি থেকে একজন নারীসহ দুইজনের মরদেহ নিয়ে যেতে দেখেছি।”
সদর হাসপাতালের পরিচালক একরামউল্লাহ বলেন, “দুইজনের পোড়া মরদেহ হাসপাতালে এসেছে, এদের মধ্যে একজন নারী।”
কিছুক্ষণ পর আরও একটি মরদেহ যায় সৈয়দ নজরুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
দুপুর তিনটার দিকে জেলার সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম সংঘর্ষে আঘাতপ্রাপ্ত ও অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত তিনজনের কথা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “কে বা কারা তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। তিনজনই হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন এবং তাদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
আহত অনেকেই বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।