Published : 23 Sep 2024, 12:59 PM
নাটোরে ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকতার জাহান সাথী জানান, রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে টিসিবির পণ্য বিতরণের সময় এ ঘটনা ঘটে।
নুরুজ্জামানকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেওয়ার একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি নিজ অফিসে বসে ছিলেন। হঠাৎ তিন থেকে চারজন যুবক সেখানে গিয়ে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চলে যেতে বলেন। এ সময় চেয়ারম্যান বসে কথা বলতে চাইলে, তারা কথা না বলে দ্রুত কার্যালয় থেকে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন এবং তাগাদা দিতে থাকেন। পরে ‘বাধ্য হয়ে’ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যান নুরুজ্জামান।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান বলেন, “টিসিবির পণ্য বিতরণ উদ্ধোধন করে রুমে গিয়ে বসতেই ‘বিএনপির’ কিছু লোকজন এসে বলে, বাহিরে চলেন কথা আছে। কি কথা এখানেই বলতে বললে, উনারা ‘উত্তেজিত’ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়েই বাইরে গেলে তারা বলেন, আপনি আর ইউনিয়ন পরিষদে আসবেন না, বাসাতেই থাকবেন।”
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, “ঘটনার সময় স্থানীয় বিএনপির ফজলুর রহমান, রাজিব ও সুমন ছিলেন। বাইরে থেকে মফিজ ও লাবু নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর আগে উনারাই ইউনিয়ন পরিষদে ঢুকে পরিষদের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হবে বলে হুমকি দিয়েছে।“
অভিযোগের বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, “ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার-চেয়ারম্যানরা যদি দুর্নীতি করেন বা তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকে, সেক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। কিন্তু কাউকে জোর করে বের করে দেওয়া উচিত নয়, এটা অন্যায়।”
জেলা বিএনপির এই নেতা বলেন, “লক্ষ্মীপুর খোলাবাড়িয়ার স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা যেটা করেছেন সেটা ন্যায়। উনারা বিএনপির কোনো পোস্টধারী নেতাকর্মী নন। আসলে বিনা ভোটে নির্বাচিত নেতারা আত্মীয়প্রীতি, স্বজনপ্রীতি করে শুধু নিজেদের লোকদের সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন, বঞ্চিত করেছেন সাধারণ মানুষকে। তাই এলাকার জনসাধারণ ক্ষুদ্ধ এসব চেযারম্যানদের বিরুদ্ধে।
“আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম, স্থানীয় প্রশাসনের এসব চেয়ারম্যানকে অপসারণ করার জন্য, কিন্তু তারা তারপরও রেখেছেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যাকে এভাবে বের করে দেয়ার ঘটনায় আমরা ব্যথিত। ”
ইউএনও সাথী বলেন, “ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে। ততক্ষণে চেয়ারম্যান চলে গিয়েছিলেন। তবে টিসিবির পণ্য সুষ্ঠভাবে বিতরণ হয়েছে।”
আর নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনা নিয়ে তাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি।