Published : 29 Apr 2025, 08:33 PM
চার বছর পর সেঞ্চুরি। স্বস্তি, উচ্ছ্বাস, ভালো লাগা সবই থাকার কথা সাদমান ইসলামের। তবে দিনশেষে তার মনে বয়ে যাচ্ছে ভিন্ন অনুভূতির স্রোতও। খুব ভালো অবস্থানে থেকেও দলের ব্যাটিং যে ভেঙে পড়েছে শেষ বিকেলে!
চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ এগিয়ে ৬৪ রানে। উইকেট আছে তিনটি। কিন্তু অনায়াসেই এই অবস্থান থাকতে পারত আরও পোক্ত। সাদমান সেই ভিত গড়ে দিয়েছিলেন দলকে। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন তার সতীর্থরা।
সাদমান সেঞ্চুরি করলেও পরের চার ব্যাটসম্যানের চিত্র ছিল ভিন্ন। ২০ ছুঁয়েছেন সবাই, কেউ পেরোতে পারেননি ৪০।
ক্যারিয়ার সেরা ১২০ রান করে সাদমান যখন ফিরছেন, দলের রান তখন ৩ উইকেটে ১৯৪। জোড়া ধাক্কা লেগেছিল তখনই। ঠিক আগের বলেই বাজে শট খেলে উইকেট বিলিয়ে দিয়েছিলেন মুমিনুল হক।
তবে দল তখনও টালমাটাল হয়নি। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম জুটি গড়ে এগিয়ে নিচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ৬৫ রানের এই জুটি ভাঙা দিয়েই ছন্দপতন। আলগা শট খেলে ২৩ রান করে আউট হন অধিনায়ক শান্ত। তাকে অনুসরণ করেন জাকের আলিও (৫)।
দারুণ খেলতে থাকা মুশফিকুর রহিম ৪০ রানে বিদায় নেন আত্মঘাতী রান আউটে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি নাঈম হাসানও। ২০ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দল।
দিনের খেলা শেষে সাদমানের কণ্ঠে তাই মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
“(নিজের) ইনিংসটা আরেকটু বড় করা যেত। আমরা একটা ভালো পজিশনে ছিলাম, কিন্তু ওখান থেকে হয়তো আমরা একটু পিছিয়ে আছি।”
“আরেকটু ভালো...আমরা ভালোর দিকেই ছিলাম। হঠাৎ করে ধস নেমেছে। আরেকটু ভালো খেললে হয়তো ভালোর দিকে বা ভালো একটা স্কোর আমরা সেট করতে পারতাম।”
অথচ বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দারুণ। দলে ফেরা এনামুল হকের সঙ্গে মিলে উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ১১৮ রান এনে দেন সাদমান। এনামুল ৩৯ রানে ফিরলেও দারুণ খেলে সাদমান পূর্ণ করেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।
প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০২১ সালে। গত অগাস্টে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেলেন সাত রানের জন্য। অবশেষে এবার খরাটা ঘুচল। সেই স্বস্তিটুকু তার সঙ্গী।
“অবশ্যই… খেলাটা তো রানের জন্যই। আমার সব সময় ইচ্ছে থাকে বড় রান করার। এখানেও ইচ্ছে ছিল সুযোগ এলে বড় স্কোর করার। আমি চেষ্টা করেছি যতটুকু দলের জন্য দিতে পারি।”
এই টেস্ট সিরিজের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালো ফর্মে ছিলেন সাদমান। একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি ফিফটিতে ৪৬৯ রান করেন তিনি ৪৬.৯০ গড়ে। যদিও সংস্করণ ভিন্ন, তবে সেই ফর্ম তাকে টেস্টে সহায়তা করেছেন বলে জানালেন ২৯ বছর বয়সী ওপেনার।
“সাদা বল বা লাল বল কোনো ম্যাটার করে না। রান তো রানই। যেখানেই খেলি চেষ্টা করি...আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে যদি ভালো রান করা যায় ওটা অবশ্যই ম্যাচে সাহায্য করে।”