সংঘর্ষের সময় ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার স্বভাবিক হয়ে যায়।
Published : 29 May 2024, 03:30 PM
রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় মোট ছয়টি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার সকাল থেকে `শান্তিপূর্ণভাবে' ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও দুপুরে দুই উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়।
এ সংঘর্ষে মোট ১৩ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে মোহনপুরে ১২ জন এবং পবায় ১ জন রয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, পবা উপজেলার পারিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ফারুক হোসেন ডাবলু ও ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হকের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এতে একজন ছুরিকাঘাতে আহত হন। পুলিশ ও বিজিবি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আর মোহনপুর উপজেলার সিংহমারা, হাটরা, মহিশকুণ্ডি কেন্দ্রের বাইরে আনারস ও কাপ-পিরিচের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষঘ হয়। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
মোহনপুর উপজেলার গোপইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে সংঘর্ষের প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুর রাজ্জাক।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, “আনারস প্রতীকের ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসার সময় কাপ-পিরিচ প্রতীকের আল মোমিন শাহ গাবরুর সমর্থকরা তাদের বাধা দেয়।
“এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ৩-৪ জন আহত হয়েছেন।”
মোহনপুর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আফজাল হোসেন বকুল বলেন, “মোট পাঁচটা সেন্টারে সংঘর্ষ হয়েছে। সেখানে মোট ১৩ জন আহত হয়েছেন।”
রাজশাহীর পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান বলছিলেন, খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের সময় ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকলেও কিছুক্ষণের মধ্যে আবার স্বভাবিক হয়ে যায়।
কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, “আমরা বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখছি, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে।"
“অতি উৎসাহী কিছু মানুষ গোলোযোগ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারা আছে সবাইকে সমন্বয় করে তাদের প্রতিহত করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা আশা করি যে, ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এবং গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”