শুক্রবার রাত ৯টার দিকে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে এই ঝড় বয়ে যায় বলে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামসুল ওয়াদুদ জানান।
তিনি বলেন, “ঝড়ে নওগাঁ জেলাজুড়ে আধাপাকা ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। তাছাড়া ধান, আম, লিচু, কলা, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রথম দফা ঝড়ে ৫৬ হাজার হেক্টর আর দ্বিতীয় দফায় ৩৪ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমির ধান নুয়ে পড়েছে।
“তাছাড়া ঝড়ে জেলার ২৯ হাজার হেক্টর আমবাগানের মধ্যে ১০ হাজার ৫০০ হেক্টরের ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ শতাংশ আম গাছ থেকে ঝরে পড়েছে। আর লিচু, কলা, শাকসবজি নষ্ট হয়েছে অনেক পরিমাণে।”
সদর উপজেলার বরুনকান্দি এলাকার আবেদ আলী জানান, তাদের এলাকা নিচু হওয়ায় বোরো ধান লাগানোর সময় দুই দফা বন্যায় ডুবে যাওয়ায় অনেক কৃষককে ঋণ করে আবার চাষ করতে হয়েছে।
“ধান যখন আধাপাকা তখন ১৭ এপ্রিল ও শুক্রবার রাতের ঝড়ে ধান প্রায় ৫০ ভাগ ঝরে গেছে। ঋণ ও সংসারের খরচ কিভাবে মেটাব সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি।”
সাপাহার উপজেলার আম চাষি মুনিরুল ইসলামের তিন বিঘা জমিতে আম্রুপালীর বাগান রয়েছে। ঝড়ে বড় আকারের আমগুলো ঝরে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এতে আমার অনেকটাই লোকসান গুনতে হবে।“