‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’, পঞ্চগড়ে পুলিশের এসআই কারাগারে

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলায় পুলিশের এক এসআইকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পঞ্চগড়ের একটি আদালত।

রোববার পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মেহেদী হাসান তালুকদার এ আদেশ দেন।

এসআই আব্দুল জলিল কুড়িগ্রাম সদর থানায় কর্মরত ছিলেন।

মামলার বরাতে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি আজিজার রহমান আজু জানান, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন এক নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার এসআই আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক’ গড়ে তোলেন। এরপর তিনি বিয়ের ভুয়া কাবিননামা দেখিয়ে ওই নারীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবনযাপন করেন।

তিনি জানান, এক পর্যায়ে কাবিননামা চাইলে জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। তখন ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

“আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ২৩ জানুয়ারি আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।”

পিপি বলেন, এরপর এসআই জলিল উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। কয়েকদিন আগে ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হয়। রোববার তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি খান মোহাম্মাদ শাহরিয়ার বলেন, “এসআই জলিল ছুটিতে আছেন। তার মামলা মোকদ্দমার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”