ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোরে ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
নিহত মো. হুসাইন (২০) ঝিনাইদহ শহরের হামদহ শান্তি নগরপাড়ার মনিরুল ইসলামের ছেলে।
আহতদের মধ্যে জুলফিকারকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ফিরোজকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, “হুসাইন বন্ধুদের সঙ্গে সদরের মান্দারবাড়িয়া গ্রামের মাঠে ওয়াজ মাহফিল শুনতে যান। সেখানে ঘোরাঘুরির সময় এক কিশোরের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে হুসাইন মাহফিল থেকে বেরিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে বাইসাইকেলে করে বাড়ির দিকে রওনা দেন। পথে ওই কিশোরসহ (১৭) আরও ১০ থেকে ১৫ জন কিশোর লাঠি ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাদের গতিরোধ করে ছরিকাঘাত করে।
“পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হুসাইন ও জুলফিকারকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হুসাইন মারা যান।”
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।