গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় সড়কের দুই পাশে লাগানো দেড় শতাধিক ইউক্যালিপটাস গাছ অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
Published : 27 Feb 2022, 11:44 AM
স্থানীয়দের অভিযোগ, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ১০ বছর আগে কামদিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর থেকে কোচমুড়ি গ্রাম পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে প্রায় ৪০০ ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয়। বর্তমানে এসব গাছের মূল্য ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা। কামদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেন চৌধুরী দরপত্র আহ্বান ছাড়া এবং বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রায় দেড় শতাধিক গাছ কাটেন। পরে স্থানীয় কাঠ ব্যবসায়ী জিলান চৌধুরীর কাছে এসব গাছ বিক্রি করে দেন।
এ ঘটনায় রোববার পর্যন্ত ‘কেউ অভিযোগ করেনি’ জানিয়ে এসআই মিলন বলেন, “বিষয়টি গোবিন্দগঞ্জের ইউএনওকে জানানো হয়েছে।”
স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদুল ইসলামের অভিযোগ, “গাছ কাটার সময় সাধারণ জনগণ বাধা দিতে গেলে ইউপি চেয়ারম্যান মোশাহেদ হোসেনের লোকজন ‘অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ’ করে ও ভয়ভীতি দেখায়।”
আরেক অভিযোগকারী জহুরুল ইসলাম বলেন, “নীতিমালা অনুযায়ী বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে গাছ কাটতে হয়। কিন্তু কামদিয়া ইউনিয়নের গাছ কাটার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেই। দরপত্রও আহ্বান করা হয়নি।”
এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ বন বিভাগের ফরেস্টার মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কামদিয়া ইউনিয়নের গাছ কাটার বিষয়ে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।
আর কাঠ ব্যবসায়ী জিলান চৌধুরীকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দরপত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দরপত্র প্রক্রিয়া করতে গেলে খাজনার চেয়ে বাজনাই বেশি।” এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
তবে সবশেষ রোববার পর্যন্ত ওই সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বলে ইউএনও আরিফ হোসেনের ভাষ্য।