ঠাকুরগাঁও শহরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে কয়েকজন হামলাকারী। হামলায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন।
Published : 22 Dec 2021, 11:16 PM
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম।
নিহত মেহেদী (১৬) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার সেনিহারী গ্রামের মো. আব্দুল মালেকের ছেলে। তিনি ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী।
আহতরা হলেন ঠাকুরগাঁও শহরের পরিষদপাড়ার মো. জুয়েলের ছেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র আরমান (১৪) এবং একই এলাকার মো. মিঠুর ছেলে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী গালিফ (১৬)।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক মোছা. সাবরিনা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিহত মেহেদীর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। ফলে প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হয়।”
তিনি আরও বলেন, আহত আরমানের বাম পায়ের উরুতে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে, এতে বেশ ভালো ক্ষত হয়েছে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অপর আহত গালিফের শরীরে ফোলা জখমের দাগ রয়েছে, তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।
আহত আরমানের বাবা মো. জুয়েল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর তার ছেলে আরমান, ভাগিনা গাফিল ও প্রতিবেশী মেহেদী বাড়ি থেকে বের হয়ে শহরের বিসিকশিল্প নগরী এলাকার শামীমের হোটেলে চা খাওয়ার জন্য যান। চা খাওয়া শেষে বাড়িতে ফেরার পথে মোবাইল ফোনের লাইট জ্বালিয়ে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।
“এ সময় রাস্তায় মোটরসাইকেল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন দুর্বৃত্ত আরমান, মেহেদী ও গালিফকে বেধরক পেটায়। এক পর্যায়ে ধারালো ছোড়া দিয়ে মেহেদীকে কোপাতে থাকে। এ সময় মেহেদীকে বাঁচাতে আমার ছেলে আরমান এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।”
পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আহত অবস্থায় তার ছেলে আরমান মোবাইল ফোনে তাকে বিষয়টি জানালে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মেহেদী, আরমান ও গালিফকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মেহেদীকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, “খবর পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
মেহেদীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।