হেফাজত তাণ্ডব: সাড়ে ৭ মাস পর সচল ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন

হেফাজত ইসলামের তাণ্ডবে বিধ্বস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন সাড়ে সাত মাস পর আবার পুরোপুরি সচল হয়েছে।

রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সিরাজ জিন্নাত জানান, শনিবার বেলা ১টা ২৬ মিনিটে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে এসে থামে সিলেটগামী আন্তঃনগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। এর মধ্য দিয়ে স্টেশনটি পুনরায় পুরোপুরি সচল হয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। ধ্বংস করে দেওয়া হয় সিগন্যালিং সিস্টেমসহ স্টেশনের সবকিছু। ঘটনার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। ফলে কার্যত অচল হয়ে পড়ে স্টেশনটি। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

পরে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন আন্দোলনে নামলে গত ১৫ জুন তিনটি মেইল ট্রেন, একটি কমিউটার এবং ১৬ জুন একটি আন্তঃনগর ট্রেনে যাত্রারিত দেওয়া শুরু করে সিগন্যাল ব্যবস্থা ছাড়াই।

প্রকৌশলী সিরাজ জিন্নাত বলেন, “আগুনে পোড়ানো স্টেশনের ভবন সংস্কার ও সিগন্যালিং সিস্টেম নতুন করে স্থাপনসহ অন্যান্য সংস্কার কাজে প্রায় এক কোটি টাকা লেগেছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে স্টেশনের আধুনিকায়নের আরও কাজ বাকি আছে। সেগুলোর কাজ দ্রুত শুরু হবে।”

স্টেশনটি নতুন করে চালু উপলক্ষে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন যাত্রীদের ফুল উপহার দেন। তাছাড়া স্টেশনে সুধি সমাবেশের আয়োজন করে পৌর আওয়ামী লীগ।

সমাবেশে বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ-সম্পাদক আলামিনুল হক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।