নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের দুই মাস পর ফের তল্লাশি চালিয়ে ভবনটিতে হাড়গোড় পাওয়া গেছে।
Published : 07 Sep 2021, 08:34 PM
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে কারখানার চতুর্থ তলা থেকে মাথার খুলি, হাড় ও মাথার চুল উদ্ধার করেছে।
গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে তিনজন নিহত হন; পুড়ে মারা যান ৪৮ জন।
সিআইডি নারায়ণগঞ্জ অফিসের সহকারী পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ জানান, আরও তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এই তিন শ্রমিক হলেন লাবনী (১৫), সাজ্জাদ (২০) ও মহিউদ্দিন (২২)।
হারুন অর রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, হাসেম ফুড কারখানার ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের মধ্যে ৪৫টি মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে দেওয়া হয়েছে। তিনটি মরহেদ হাসপাতালে রয়েছে। সেগুলো শনাক্ত করার জন্য তাদের স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।
“ভবনের চতুর্থ তলার ফ্লোরের তিনটি জায়গা থেকে নতুন করে দেহের অংশ বিশেষ, মাথার চুল পাওয়া গেছে। সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হবে।”
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, নতুন করে তিনটি পরিবার তাদের স্বজনের মরদেহ পাননি এমন আবেদন করেছে। তারা হাশেম ফুড কারখানায় কর্মরত ছিলেন। আগুনের ঘটনা যাদের মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল তাদের মধ্যে এই তিন জনের মরদেহ শনাক্ত হয়নি।
“তাই তিন পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় আজ বিকেলে থেকে তল্লাশি অভিযান চালোনো হয়।”
গত ৮ জুলাই হাসেম ফুডস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫১ জন মারা যান; যাদের মধ্যে আগুনে পুড়ে ৪৮ জন ও লাফিয়ে পড়ে ৩ জন নিহত হন।
এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, ফায়ার সার্ভিস, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কারখানার মালিক আবুল হাসেম, তার চার ছেলেসহ আট জনের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেছে। পুলিশ তাদের চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। পরে আদালতে থেকে তারা জামিনে বের হন।